সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ টুইটার

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইমার্জিং কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। এদিন মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে হংকংকে ২৮ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দল।
যেকারণে সেমিফাইনালে যেতে হলে রবিবার পাকিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। এদিন বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫৮ রান করতে সক্ষম হয় হংকং। দলের পক্ষে বাবর হায়াত ৯১ এবং নাজাকাত খান করেন ৯২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে মোসাদ্দেক এবং খালেদ নেন ২তি করে উইকেট।
দলের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশাপাশি বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন তিনি। ১১ তারিখ পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
হংকংয়ের ইনিংসঃ ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা হংকংয়ের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ভুগিয়েছেন। প্রথম ছয় ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কোন প্রকার বিপদেই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও সপ্তম ওভারে এসে ওপেনার এজাজ খানকে সাজঘরে ফেরান পেসার খালেদ। উইকেট হারালেও থেমে যান নি হংকংয়ের ব্যাটসম্যানরা।

স্কোরবোর্ডে ৬ রান রেটে রান যোগ করে গিয়েছেন নিজাকাত খান এবং রাগ কাপুর। তবে রাগ ফিরে গেলেও নিজাকাত এগোতে থাকেন শতকের দিকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯২ রানে তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বড় ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাঈম হাসান। নিজাকাত ফিরলেও বাবর হায়াত তুলে নেন ৫০।
একপ্রান্ত আগলে রেখেই খেলতে থাকেন তিনি। সেঞ্চুরির আশাও জাগান এই ব্যাটসম্যান। তবে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ ফিরে টাইগাররা। বাবর বিদায় নেন ৯১ রানে।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি হংকং। শেষের দিকে এহসান খান ২৬ রান যোগ করলেও ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান তুলতে সক্ষম হয় তাঁরা। ফলে ২৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংসঃ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯ রান তুলতেই ওপেনার মিজানুরকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর জাকির হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দলের হাল ধরেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৮০ রান। কিন্তু তাঁদের ৮০ রানের জুটিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এহসান খান। ৩৬ রান করা শান্তকে বোল্ড আউট করেন তিনি।
শান্ত ফিরলেও অর্ধশতকের পথে হাঁটছিলেন জাকির। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৯ রানে তানভির আহমেদের বলে ওয়াকাস খানকে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ওপেনার। তবে দলীয় ১০০'র আগে তিন উইকেট হারালেও মোসাদ্দেক হোসেন এবং ইয়াসির আলির ব্যাটে লড়াই চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুজন দেখে শুনে খেলে ইতিমধ্যে ৫০ রানের জুটিও গড়েন।
ফিফটিও তুলে নেন মোসাদ্দেক। মোসাদ্দেক ফিফটি হাঁকালেও ইয়াসির ফিরে যান ৪৫ রানে। সঙ্গী হারালেও থেমে যাননি মোসাদ্দেক। হংকোংয়ের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নেন ৮৫ বলে শতক।
তবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বেশীক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি তিনি। ৮৬ বলে ৮ চার এবং ৩ চারের সাহায্যে ১০০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা দ্রুত ফিরলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশঃ মিজানুর রহমান, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাইম হাসান, ইয়াসির আলি, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তানভির ইসলাম।
হংকং ইমার্জিং একাদশঃ আইজাজ খান (অধিনায়ক), বাবর হায়াত, ইহসান খান, ইহসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ গাজানফার, নিজাকাত খান, রাগ কাপুর, শহীদ ওয়াসিফ (উইকেটরক্ষক), তানভির আহমেদ, তানউইর আফজাল, ওয়াকাস খান। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশঃ ২৮৬/৮ (৫০ ওভার) (মোসাদ্দেক ১০০, জাকির হাসান ৪৯), (এজাজ খান ৬২/৩) হংকংঃ ২৫৮/৮ (৫০ ওভার) (বাবর হায়াত ৯১, নিজাকাত খান ৯২), (মোসাদ্দেক হোসেন ২৩/২)