গলির ক্রিকেটেও একশ করা কঠিনঃ রিয়াদ

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সিলেট টেস্টে বাংলদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ে প্রশ্ন উঠছে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান এবং সেখানে ব্যাটসম্যানদের পারফর্মেন্সের উপর। এনসিএলের পারফর্মেন্স এবং জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স আকাশ-পাতাল তফাৎ। এবারের এনসিএলেও দ্বিশতক হাঁকিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার লিটন দাস। প্রতিবারই ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্মেন্স করে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ব্যাটসম্যানরাই করেছেন হতাশাজনক পারফর্মেন্স।
তবে কি জাতীয় লীগ থেকে জাতীয় দলের গুরুত্ব ব্যাটসম্যানদের কাছে কম, নাকি মানের দিক থেকে জাতীয় লীগ পিছিয়ে? উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জানিয়েছেন, যে পর্যায়েই হোক না কেন রান করা সবসময়ই কঠিন। হোক সেটা গলির ক্রিকেট অথবা আন্তর্জাতিক। তাই সিলেট টেস্টে ব্যাটসম্যানদের এমন খামখেয়ালি ব্যাটিংয়ে জাতীয় লীগকে দায়ী করতে নারাজ রিয়াদ।
যার পিছনের সব সমস্যা নিজেদের মাঝে, মনে করছেন অধিনায়ক। কারণ টেস্ট খেলার মানসিকতা আমরা নিজেরাই হারিয়ে ফেলি। পাশাপাশি রয়েছে ধারাবাহিক পারফর্মেন্সের অভাবও।

'জাতীয় লীগে আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানেরা মাশাল্লাহ সকলেই কম বেশি রান করছে। বোলাররাও উইকেট পাচ্ছে। সুতরাং জাতীয় লীগের কথা যদি বলি আমার মনে হয় ভাল ক্রিকেটই হচ্ছে। আপনি যেকোনো জায়গাতেই খেলেন না কেন, যদি গলির ক্রিকেটেও একশ করেন সেটাও কঠিন। এটি এত সহজ নয়। আপনি যেখানেই শতক কিংবা দ্বিশতক করেন সেটা সহজ নয়। আমার মনে হয় যে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ব্যাটসম্যানেরাই মাশাল্লাহ ভাল রান করছে, বোলাররাও উইকেট নিচ্ছে।
'সুতরাং আমার মনে হয় এখানে ঘরোয়া লীগের কোন অজুহাত দেয়া যাবে। আমরা আসলে যেটি বললাম যে টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচটি কখনো ধরতে পারি আর যখন ধরি তখন অনেক ভাল ধারাবাহিকতায় থাকি। যখন আবার এদিক সেদিক হয় তখন আবার আমরাও নিজেদেরকে গুঁটিয়ে ফেলি। এই বিষয়গুলোর সমাধানই খুঁজে বের করতে হবে। আর একটাই উত্তর, সেটি হল ধারাবাহিকতা। মানে ধারাবাহিকভাবে আমাদের পারফর্ম করতে হবে,' ঢাকা টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ।
কিন্তু দেখা যায়, এই ব্যাটসম্যানরাই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পারফর্মেন্স করে থাকেন নিয়মিত। যার মূল কারণ হিসেবে শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যাটিংয়ের অভাবকেই দুষছেন মাহমুদুল্লাহ।
'আমার কাছে মনে হয় শৃঙ্খলার অভাবের কারণেই এমনটা হচ্ছে। যেটি আমি আগেই বললাম যে টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগের লেভেলটাও সেরকম পর্যায়ে থাকতে হবে। তা না হলে পারফর্ম করার সুযোগটি অনেক কম।
'কারণ বিশেষ করে যেটি আগেই উল্লেখ করলাম যে স্লো এবং স্পিনিং উইকেটে যেখানে বল হয়ত কাছে কম আসে, তখন আপনাকে অবশ্যই সেভাবে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে খেলা লাগবে এবং শৃঙ্খলার ব্যাপারটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টে আরও ধৈর্য নিয়ে খেলতে হবে।'