গেম অনঃ স্টিভ রোডস

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সিলেট টেস্টে জয় পেতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তাড়া করতে হবে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান। সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ শিবির। তবে হেড কোচ জানালেন স্টিভ রোডস জানালেন, গেম অন, ম্যাচটা জমে উঠেছে।
সেই সঙ্গে তাইজুলকে তার দারুণ বোলিংয়ের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বোলারদের চেষ্টায় তৃতীয় দিন ম্যাচে ফিরতে পেড়েছে বাংলাদেশ। আর প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকাটাকে দুর্দান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন এই ইংলিশম্যান।
'চতুর্থ দিনের আগে ম্যাচটা জমে উঠেছে, এটা সত্যি। আর তাইজুল দারুন বোলিং করেছে। বাকি বোলাররাও ভাল করেছে। তাঁরা আমাদের এমন একটা জায়গায় এনে দিয়েছে, যেখানে আসলে বলা যায়, 'গেইম অন'। প্রথম ইনিংসে ভাল না খেলার পরও এমন অবস্থায় এসেছি, বিষয়টি দুর্দান্ত বলা চলে।'
রোডস আশাবাদী যে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে এই লক্ষ্য তাড়া করার। দলের সবার জানা আছে যে লক্ষ্যটা সহজ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে চায় বাংলাদেশ দল।

কিন্তু প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এতো বড় লক্ষ্যের সামনে হিমশিম খেতে হতে পারে রিয়াদ বাহিনীকে। কেন না শেষ সাত ইনিংসে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ২০০'র উপর স্কোর করতে পারেন নি টেস্টে।
এছাড়া উইন্ডিজদের মাটিতে ৪৩ রানে অল আউট এবং চলমান টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাকফুটে থেকেই চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি উইকেট থেকে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন যেকারণে এই টেস্টে জিততে হলে এই টেস্টে ভিন্ন কিছুই করে দেখাতে হবে। হেড কোচ রোডস জানালেন,
'আমি মনে করি দলের চাপা আত্মবিশ্বাস আছে। তাঁরা জানে যে ম্যাচ জিততে হলে এই ম্যাচের সর্বোচ্চ রান করতে হবে। এবং এটা সবসময় ঘটে না।আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল ব্যাটিং করতে চাই, প্রথম ইনিংসের তুলনায়। আজ দিনের শেষে লিটন ও ইমরুলের ব্যাটিংয়ে খুবই খুশি। তাঁরা ভাল ভিত গড়েছে। তাদের আগামীকালও ভাল করতে হবে।'
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মোট ১০ ওভারের মতো ব্যাটিং করেছে। যেখানে দুই ওপেনারই দেখে শুনে খেলেছেন দলের পক্ষে। প্রতিপক্ষের বোলারদের বিপক্ষে কোন প্রকার ভুল করেন নি।
তাই সংবাদ সম্মেলনে আশা হেড কোচকে জবাব দিতে হয়েছে কেন প্রহতম ইনিংসে এমন দেখে শুনে ব্যাট করল না বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দল নিজেরাই নিজেদের গর্তে ফেলেছে।
'আমি আমার কোচিং স্টাইলকে পছন্দ করি, সবসময় বিশ্বাস রাখতে পছন্দ করি নিজের কোচিংয়ে। কিন্তু ক্রিকেটে সবসময় আপনি যেভাবেই চাইবেন সেভাবে ঘটনা ঘটবে না। ওরা সবাই ভাল প্লেয়ার। কিন্তু আমরা নিজেদের বড় গর্তে ফেলে দিয়েছি। আর তাঁরা জানে বিষয়টি। আমার আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই।
আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন, আমাকে উত্তর দিতে হচ্ছে। কিন্তু ওরা সবাই হতাশ যেভাবে তাঁরা আউট হয়েছে। ১৪১ রানে অল আউট হওয়া খুবই হতাশ ছিল, কারণ উইকেট যথেষ্ট ফ্ল্যাট ছিল। আমি জানি না কেন, আমরা সবাই চেষ্টা করেছি সাদা বলের ক্রিকেট থেকে লাল বলের ক্রিকেটের মানসিকতা নিয়ে খেলতে, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু সেদিন ভাল যায় নি আমাদের। আমি মনে করি ড্রেসিং রুম দ্বিতীয় ইনিংসে ভুল শুধরে ফিরতে চাইবে। কি হবে সামনে আমি জানি না, কিন্তু আমরা চেষ্টা করব এটা নিশ্চিত।'