দুশ্চিন্তার নাম বাংলাদেশের পেস বোলিং

ছবি:

উইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজের জন্য আগেই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশর দলের নির্বাচকরা। আর ঘোষিত দলে ইনজুরির কারণে রাখা হয়নি টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে।
ঠিক একই ভাবে ইনজুরি এবং ফর্মহীনতার কারণে দলে নেই তাসকিন আহমেদও। আর আসন্ন সিরিজে প্রথম বারের মত ডাক পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী।
তাই আসন্ন টেস্ট সিরিজে টাইগারদের বোলিং অ্যাটাককে নেতৃত্ব দিবেন পেসার রুবেল হোসেন। বাকি সব বোলারদের তুলনায় সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ এই ডানহাতি পেসার।
প্রায় ৮ বছরেরও বেশী সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলা রুবেল এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলেছেন ২৫টি টেস্ট। তবে উইকেট সেই তুলনায় বেশী নয়, মাত্র ২৫টি। তারপরও অভিজ্ঞতা এগিয়ে রাখছে তাকে।

রুবেলের পর অভিজ্ঞতার দিকে দিয়ে এগিয়ে আছেন পেসার শফিউল ইসলাম। জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও গেল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন বাংলাদেশ দল।
সেই সফরে নিজেকে প্রমান করতে না পারলেও অভিজ্ঞতার কারণেই দলে আছেন তিনি। সাদা পোষাকে ১১টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। তবে স্ট্রাইক রেট ১০২ এর পাশাপাশি গড়ের দিক দিয়ে আবার পিছিয়ে আছেন তিনি।
এছাড়াও দেশের জার্সিতে ৫ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে উইন্ডিজ সফরে গিয়েছেন পেসার রাব্বি। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে তার থাকাটা নিশ্চিত নয়।
কারণ ঘরোয়া লীগের পারফর্মেন্সের কারণে রাব্বির থেকে এগিয়ে আছেন রাহী। তাই প্রথম টেস্টে অভিষেক হতে পারে রাহীর। আর তার সঙ্গে একাদশে নিশ্চিত ভাবে থাকবেন পেসার রুবেল হোসেন।
তৃতীয় পেসার হিসেবে শফিউল ইসলামের একাদশে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী। স্পিনার তাইজুল ইসলাম তো একাদশের অটো চয়েজ। তবে আরেক বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামলে অর্থাৎ মেহেদি মিরাজ একাদশে থাকলে দুই পেসার নিয়ে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে।
সেক্ষেত্রে কপাল পুরতে পারে শফিউল ইসলামের। তবে নির্বাচকরা যদি অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তাহলে অভিষেক টেস্ট খেলতে অপেক্ষা করতে হতে পারে আবু জায়েদ রাহীকে।
যেহেতু মুস্তাফিজ নেই, তাই রুবেলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আর অনভিজ্ঞ বোলিং ইউনিট উইন্ডিজের মাটিতে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তাই উইন্ডিজ সফরে টাইগারদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ পেস বোলিং ইউনিট।