রশিদের মত সময় নারাইন-মেন্ডিসরাও পার করেছে

ছবি:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেনি। আর দু'দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন লেগ স্পিনার রশিদ খান।
সিরিজ শুরুর আগে থেকেই রশিদ খানকে নিয়ে ভয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। আর সেটারই ফায়দা নিয়েছেন রশিদ খান।
এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার আরিফুল হক। তিনি আরও জানান, রশিদকে পরখ করা সহজ হত যদি তাকে বল টু বল খেলা যেত।
মঙ্গলবার টাইগারদের অনুশীলন শেষে এসব নিয়েই কথা বলেছেন আরিফুল হক। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আরিফুল আরও জানান,
'আসলে আমার মনে হয় আমরা নামেই খেলে ফেলেছি ওকে। আমরা রশিদ খান মনে করে খেলেছি। সেটি না করে যদি বল টু বল খেলতাম মনে হয়না এতটা সমস্যা হতো। আর সময়য় যখন যার ভালো যায় তখন সে সাফল্য পায়।

আমার মনে হয় এখন তাঁর পিক টাইম। তাঁর এখন অনেক ভালো সময় যাচ্ছে। এমন সময়য় অনেকেরই গেছে। আপনি মুরলি বলেন, সুনিল নারাইন বলেন বা মেন্ডিস বলেন অনেকেরই ভালো সময় গিয়েছে। আমার মনে হয় আমরা তাড়াতাড়িই ওকে বুঝতে ফেলতে পারবো আর খুব একটা কঠিন হবে না এরপরে তাঁকে খেলা।'
এদিকে সিরিজের শেষ ম্যাচে দলকে জেতাতে পারেননি আরিফুল হক। ছক্কার জন্য শট খেলার পর ফিল্ডার সেটাকে থামিয়ে দেন। পরবর্তীতে ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ত হয় বাংলাদেশকে।
আর এখনও সেই হারের স্মৃতি ভুলেন নি আরিফুল। এখনও তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না কিভাবে হেরে গেলেন তারা। আরিফুল আরও জানান,
'আমার কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্বাস হচ্ছে না যে ছয় আটকিয়ে দিসে সে। আর আমি রুমে আসার পর ভিডিওটি কতবার যে দেখেছি ইউটিউবে যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
আমার অনেক বড় একটি সুযোগ মিস হয়ে গেছে আরকি। আমার টার্গেট লক্ষ্য ছিলো যে সে আমাকে গুগলি করবে আর আমিও সেই গুগলি হিসেবেই ওকে মেরেছিলাম।
আর আমি ভেবেছিলাম সে আমাকে গুগলিই করবে আর ভেতরে বল ফেলবে। আমি শুধু সাফল করে ভেতরে ঢুকেছি এবং হিট করেছি। আর সে যখন বোলিং শুরু করে তখন আমি অনেকক্ষণ সময় নিয়েছি একটু রিল্যাক্স হওয়ার জন্য।
কারণ ঐ সময়য় শরীরের মুভমেন্ট কিছুটা শক্ত হয়ে যায়। এরপরে যখন বোলিংটা করলো তখন আমি আসলে কি করেছি ভাবতে পারছি না। আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আসলে ওটা ছয় কিংবা চার হয়নি। আমার মনে হয় আরেকটু জুম করে দেখা উচিৎ ছিলো বলটি।'