বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন শেনওয়ারী

ছবি:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও হতাশ করেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে ওপেনার তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। বল হাতে আগের ম্যাচের মতো আজও ভীতি ছড়িয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।
আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে রানে ১৩৪ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল ইসলাম অপুর প্রথম ওভার মেডেন দেয় আফগানরা।
তার দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় ওভারেও মেডেন দেয় আফগানরা। তবে বাকী বোলারদের উপরে চড়াও হয় দুই আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও উসমান গনি।
তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি। ১৮ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন শেহজাদ। ৩১ বলে ২১ রান করে আরেক ওপেনার গনি রুবেলের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
এরপরে আফগান শিবিরে আঘাত আনেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আসগর স্ট্যানিকজাইকে (৪) ফেরান তিনি। এই রিপোর্ট লিখার সময়ে আফগানদের সংগ্রহ ১৭ ওভারে তিন উইকেটে ১০৬ রান।

মোহাম্মদ নবী উইকেটে আছেন ৯ রানে। সাথে সামিউল্লাহ শেনওয়ারী করেছেন ৩৭ বলে ৪২* রান। জিততে হলে ১৮ বলে ২৯ রান দরকার আফগানদের।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেনে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে, ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
লিটন মাত্র ১ রান করে জাদরানের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। তারপর ১৩ রান করে সাব্বির, ২২ রান করে মুশফিকুর রহীম ও ১৪ রান করে মাহমুদুল্লাহ তামিমকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন।
তবে কেউই স্থায়ী হতে পারেননি বেশিক্ষণ। একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিম ৪৩ রান করে আউট হয়েছেন। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলেও শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ১৪ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।
নাজমুল অপু অপরাজিত থাকেন ৬ রান করে।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ টি উইকেট দখল করেছেন রশিদ খান। ২ টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। আর শাপুর জাদরান ও করিম জানাতের ঝুলিতে গেছে ১ উইকেট। এই ম্যাচে জয় পেতে দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের।
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি।
আফগানিস্তান: মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), উসমান গনি, আসগর স্ট্যানিকজাই (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেনওয়ারী, শফিকুল্লাহ শফিক, রশিদ খান, করিম জনত, মুজিব উর রহমান, শাপুর জাদরান।