promotional_ad

টেস্ট উইকেট কেমন হওয়া উচিত?

promotional_ad

মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার বক্সিং ডে টেস্টের উইকেটকে আইসিসি 'বাজে' ঘোষণা করেছিল। বোলারদের জন্য এমসিজির উইকেটে কিছুই ছিল না। ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পর স্মিথ ও শন মার্শের ফিফটিতে ৩২৭ রান তুলে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।


জবাবে অ্যালিস্টার কুকের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪৯১ রান করে ইংল্যান্ড। ২৪৪ করে অপরাজিত ছিলেন কুক। জো রুট ও শেষের দিনে ব্রড ফিফটির দেখা পান। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রান বন্যা বইয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।


ওয়ার্নারের আশি ছাড়ানো ইনিংসের পর স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ১০২ রানের ইনিংস। ড্র'র জন্য খেলতে গিয়ে ১৬৬ বল খেলে মাত্র ২৬ রান করেন মিচেল মার্শ। পরে ম্যাচটি ফলাফল শুন্য ড্র হয়। আইসিসি পরে এমসিজির উইকেটকে অতিরিক্ত ব্যাটিং সহায়ক ঘোষণা দেয়।


এক মাস বাদেই ভিন্ন কারনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের উইকেটকে 'বাজে' স্বীকৃতি দেয়। অতিরিক্ত বোলিং সহায়ক উইকেট নয়, ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটটি মৃত্যুকূপ ঘোষণা করা হয়।


সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে আগে ব্যাট করে ফাস্ট বোলারদের স্বর্গে মাত্র ১৮৭ রানে অল আউট হয় ভারত। জবাবে খুব বেশি দূর যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের ১৯৪ রানে অল আউট করে দিয়ে ম্যাচের দুয়ার দুই দলের জন্য খুলে দেয় ভারত।



promotional_ad

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলি ও রাহানের সাহসী ব্যাটিং ভারতকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিতে সাহায্য করেন। চতুর্থ ইনিংসে ভারতের দেয়া আড়াইশ ছাড়ানো স্কোর পার করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।


ডিল এলগার একা লড়াই করলেও বাকীটা টিকতে পারেনি ভারতের পেসারদের সামনে। পুরো ম্যাচ জুড়ে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের বলের আঘাত সহ্য করতে হয়েছে। অতিরিক্ত বোলিং সহায়ক উইকেট হওয়ায় আইসিসির খড়গ নামে সেঞ্চুরিয়ানের উইকেটের উপর। 


সদ্য সমাপ্ত চিটাগং টেস্টের উইকেট নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। বাংলাদেশ দল আগে ব্যাট করে ৫১৩ রান করে অল আউট হন। মমিনুল হক সেঞ্চুরির দেখা পান। জবাবে রান বন্যা বইয়ে দেন শ্রীলঙ্কা। তিন সেঞ্চুরিতে ৭১৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা।


জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান তুলে বাংলাদেশ। এরপর দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আইসিসির অবশ্য চিটাগংয়ের উইকেট নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য করে নি। কিন্তু লঙ্কানরা উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেছে। 


টেস্ট ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে এই মৌসুমের শুরুতেই আইসিসিকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে। প্রশ্ন জাগে, আদর্শ টেস্ট উইকেট কিভাবে প্রস্তুত করা সম্ভব। উত্তর জানিয়েছেন সাবেক অজি অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ইয়ান চ্যাপেল। 



কিউরেটরদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেই উইকেট বিতর্ক কমে আসবে, এমন দাবী করছেন এই ক্রিকেট পণ্ডিত। ক্রিকইনফোর কলামে তিনি লিখেছেন, 'উইকেট তৈরির বিষয়টা একদমই কিউরেটরদের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। কোন কোচ, অধিনায়ক বা প্রশাসনিক কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত না। একজন ভালো কিউরেটর একজন দক্ষ ক্রিকেটারের মতন, তিনি জানেন কেমন উইকেট ভালো ক্রিকেটের জন্য উপযোগী।' 


বিস্তারিত ব্যাখ্যায় ইয়ান চ্যাপেল লিখেছেন, 'ক্রিকেটাররা ৫ দিন লড়াই করে শেষ দিনে ফলাফল পাবে, সেই জন্য যোগ্য উইকেট দেয়ার দায়িত্ব কিউইরেটরের।  যা দু'দলের জন্যই সুবিধাজনক হবে। এমন উইকেটে বোলার বা ব্যাটসম্যান নিজের দক্ষতা অনুযায়ী পারফর্মেন্স করতে পারবে, যা খেলাকে আরো প্রতিযোগিতা মূলক করে তুলবে। ক্রিকেটারদের পিচের অবস্থা নিয়ে কোন অসন্তুষ্টটি থাকবে না, যেটা ক্রিকেটার ও দর্শক সবারই কাম্য। আর সেটাই সব সময় হওয়া দরকার। ক্রিকেটকে উপভোগ্য করতে হলে সঠিক উইকেট আবশ্যক।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball