মমিনুলের প্রতিআক্রমন

ছবি:

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৭২/১ (১৫.২) মমিনুল ০* ইমরুল*১৮।
টস ভাগ্যঃ
চিটাগং টেস্টের উইকেট স্পিনারদের হয়ে কথা বলবে। ম্যাচ শুরুর আগে দুই অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও দীনেশ চান্দিমাল একই কথা বলেছিলেন। যতই দিন গড়াতে উইকেটে ততই স্পিন ধরবে। এমন উইকেটে প্রথম ইনিংসের রান মহামূল্যবান বিধায় টসে জিতে ব্যাটিং নিতে দ্বিতীয় চিন্তা করতে হয়নি রিয়াদকে।
স্পিন বলে চিটাগং টেস্টের মূল শক্তি, সেরা একাদশ নির্বাচনেও তারই প্রতিফলন দেখা গেল। বাংলাদেশের দশম টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ তার প্রথম টেস্টে তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে দল সাজান।
ব্যাটিংয়ে শুভ সূচনাঃ

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাটের মাঝখান খুঁজে পান তামিম। লাহিরু কুমারাকে হ্যাট্রিক বাউন্ডারিও হাঁকান এই ওপেনার। লাকমল ও কুমারার পেস বেশ উপভোগ করছিলেন ইমরুলও। ইনিংসের শুরুতে বাউন্ডারির দেখা পান তিনিও। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের অষ্টম ওভারেই স্পিনার আনতে বাধ্য হন চান্দিমাল।
অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাকে ব্যবহার করতে ব্রেক থ্রু আনতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তামিম প্রথম ওভারেই পেরেরার অফ স্পিনকে স্টেপ আউট করে কাভার বাউন্ডারিতে পাঠান। পরের ওভারে ফের ক্রিজ ছেড়ে খেলেন তামিম। এবার বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছয় হাঁকিয়ে দশম ওভারেই বাংলাদেশের ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। টানা দশ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে অর্ধশত রানের জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ।
তামিমের ফিফটিঃ
টেস্টের প্রথম সকালে লঙ্কানদের বোলারদের উপর ইনিংসের শুরু থেকেই চড়াও হন তামিম। প্রথমে লাহুরু কুমারাকে কয়েক দফা বাউন্ডারি ছাড়া করার পর আরেক পেসার লাকমলকে শাসন করেন তিনি। পেরেরার অফ স্পিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যাটিং করে রান বাড়িয়ে নেন তামিম। লঙ্কান বোলারদের লাইন লেন্থে থিতু হতে না দিয়েই মাত্র ৪৬ বলে ফিফটি তুলে নেন টাইগার ওপেনার।
পেরেরার আঘাতঃ
তামিম-ইমরুলের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেয়া তামিম বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭তম ওভারে এসে তামিমের ডিফেন্সে ফাটল ধরান দিলরুয়ান পেরেরা। ব্যাট ও প্যাডে মাঝে জায়গা বের করে তামিমকে বোল্ড করেন তিনি। ৫৩ বল খেলে ৫২ রান করা তামিমের আরেকটি সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি টানেন পেরেরা। সেই সাথে ওপেনিংয়ে তামিম-ইমরুলের ৭২ রানের দুর্দান্ত জুটির সমাপ্তি ঘটে।
মমিনুলের প্রতিআক্রমনঃ
তামিমের 'বিগ উইকেট' হারিয়েও প্যাডেল থেকে পা সরায় নি বাংলাদেশ। তিন নম্বরে নামা মমিনুল হক ওভার প্রতি পাঁচ করে রান তুলে ২০ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোর সেঞ্চুরি ছাড়া করেন। স্পিন ও পেসের বিপক্ষে বাউন্ডারি খুঁজে নেন মমিনুল। কায়েস অন্য প্রান্তে সতর্ক ব্যাটিং করে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ার চেস্টা করেন।
বাংলাদেশ একাদশ- তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক),মমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, সানজামুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা একাদশ- দিমুথ করুনারত্নে, ধনঞ্জয় দে সিলভা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিলেল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকওয়েলা (উইকেট রক্ষক), রোশান সিলভা, দিলরুয়ান পেরেরা, রঙ্গনা হেরাথ, সুরঙ্গ লাকমাল, লক্ষন সন্দাকান, লাহিরু কুমারা।