জুনায়েদ, রকিবুলের পর সৌম্য?

ছবি:

'চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রিয় ছাত্র সৌম্য সরকার' এমন কথা অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারকে নিয়মিত শুনতে হয়েছে। বিষয়টি আরও পাকাপোক্ত হলো চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর।
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার পরের সিরিজের স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়তে হল সৌম্য সরকারকে। কোচের বিদায়ের পর পরেই প্রিয় ছাত্রর দল থেকে বাদ পড়ার ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম নয়।
২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্সের প্রিয় ছাত্রদের তালিকায় ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, রকিবুল হাসান ও জুনায়েদ সিদ্দিকিরা।
সাকিব ও তামিম সিডন্সের অধীনে বেশ উন্নতি করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন রকিবুল হাসান ও জুনায়েদ সিদ্দিকি। ধারাবাহিকতার অভাব থাকলেও সিডন্সের গুড বুকে থাকায় দলে নিয়মিত সুযোগ পেয়ে এসেছেন তারা।

তবে হানিমুন পিরিয়ড বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১১ সালের দিকে জিমি সিডন্সের বিদায়ের পর দল থেকে ছিটকে পড়েন রকিবুল হাসান ও জুনায়েদ সিদ্দিকি।
২০১১ সালেই এই দুইজনের ওয়ানডে দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই জাতীয় দলের রাডারের বাইরে পঞ্চাশের বেশি ওয়ানডে খেলা রকিবুল ও জুনায়েদ। সৌম্যর ভাগ্যও কি একই রকম হবে?
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলছেন, 'সৌম্য সব ফরম্যাটেই কিছুদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। ওর ট্যালেন্ট নিয়ে কোন রকম কোন প্রশ্ন নেই। যেহেতু একটু ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই, এইজন্য আমরা একটু ব্রেক দিয়েছি। সৌম্য আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। যেহেতু আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা আশা করি ও আবার ফর্মে ফিরে আসবে।
'সবকিছু মিলিয়েই তাকে একটা ব্রেক দেওয়া চিন্তা ভাবনা করেছি। মানসিক ভাবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে সৌম্য কিছুটা ব্রেক প্রয়োজন। ধারাবাহিকতা রক্ষা করা খুব কঠিন জিনিস। একবার যদি ব্রেক ডাউন হয় তাহলে এটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। ও যথেস্ট ট্যালেন্ট খেলোয়াড়। ও বেশ কিছু ভালো ইনিংস দেশের জন্য খেলেছে। আমি আশা করি খুব দ্রুত সে ক্যামবেক করতে পারবে।'
নির্বাচকরা মুখে পক্ষে বললেও বাস্তবিক অর্থে সৌম্যর ফেরা সহজ হবে কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে বয়স ও নিজ হাতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতার দিক বিবেচনা করে হয়তো দ্বিতীয় সুযোগ মিলতেও পারে এই ড্যাশিং ওপেনারের।
সৌম্যর জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন ইনফর্ম এনামুল হক বিজয়। জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে সৌম্যকে সেই বিজয়ের পথেই হাঁটতে হবে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট এ ক্রিকেটে ধারবাহিক ভাবে রান করার কঠিন পরীক্ষায় পাশ করেই ফিরতে হবে সৌম্য সরকারকে।
সূত্রঃ ক্রিকইনফো