‘কাউকে সুযোগ দেয়া যাবে না যাতে আপনাকে দল থেকে বের করে দেয়’

ছবি: সরফরাজ খান (বামে) ও সুনীল গাভাস্কার (ডানে)

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে ব্রাত্য ছিলেন সরফরাজ। কয়েক বছরের অপেক্ষা শেষে গত বছর ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ মেলে ২৭ বছর বয়সি এই ব্যাটারের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। পরের টেস্টে ভালো করতে না পারলেও তৃতীয় টেস্টে আবারও হাফ সেঞ্চুরি করেন সরফরাজ।
সরফরাজের সেরা চারে আফগানিস্তান থাকলেও নেই ইংল্যান্ড-সাউথ আফ্রিকা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট সরফরাজ খেলেন ১৫০ রানের ইনিংস। যদিও পরের দুই টেস্টেই ব্যর্থ ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে এক সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৭১ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ মেলেনি তাঁর। পুরো সিরিজই বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে সরফরাজকে। দেশে ফেরার পর চোটের কারণে রঞ্জিতে খেলতে পারেননি তিনি।

চোট কাটিয়ে অবশ্য নিজেকে ফিট করতে কাজ করে গেছেন সরফরাজ। টেস্টে ভালো করতে ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে সবশেষ কয়েক মাসে খেলার মধ্যে না থাকায় ইংল্যান্ড সফরে সুযোগ মেলেনি তাঁর। গাভাস্কার মনে করিয়ে দিয়েছেন, কাউকে সুযোগ দেয়া উচিত নয় যাতে আপনাকে দল থেকে বের করে দেয়। এজন্যই নিজের জায়গায় লেগে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শিরোপার দৌড়ে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে রাখছেন গাভাস্কার
৩ মে ২৫
এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, ‘এটা কঠিন, আসলে ক্রিকেট এমনই। আপনি যখন সুযোগ পাবেন তখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে জায়গাটা আপনার। এমনকি আপনি যদি সেঞ্চুরি করেন তবুও আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আগের ইনিংসের জন্য আপনার পরের ইনিংসটা যেন জলে না যায়। আপনাকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে এবং আবারও রান করতে হবে। অবশ্যই, কাউকে আপনার সুযোগ দেয়া যাবে না যাতে আপনাকে দল থেকে বের করে দেয়। এটা পুরোটাই আপনার উপর কিভাবে লেগে থাকছেন। আপনার সবসময় দরজায় কড়া নাড়তে হবে এবং সেটা ভাঙতেও হবে।’
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টেই জয় পেয়েছিল ভারত। তবে পরবর্তী সময়ে ভালো করতে না পারায় সিরিজ হারতে হয়েছে বিরাট কোহলি-শর্মাদের। গাভাস্কার মনে করিয়ে দিয়েছেন, সিরিজ হারলে বেশিরভাগ দলই তাদের বেঞ্চে বসে থাকা ক্রিকেটারদের বাদ দেয়। তবে সরফরাজকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল বলে জানা গাভাস্কার। সরফরাজকে খানিকটা দুর্ভাগাও ভাবছেন তিনি।
গাভাস্কার বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ অস্ট্রেলিয়া সফরের পর লাল বলের ক্রিকেট খেলতে পারেনি। হ্যাঁ, রঞ্জি ট্রফির খেলা হয়েছে কিন্তু সে চোটে পড়ে ছিল। এজন্য সে খেলতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ফর্ম কেমন সেটা দেখানোর সুযোগ পায়নি। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে কেউ আপনাকে বাদ দিতে না পারে। আমরা আগেও দেখেছি কোন দল যদি সিরিজ হারে তাহলে স্কোয়াডের ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর খেলোয়াড় বাদ পড়ে। আপনাকে আপনার সুযোগ নিতে হবে।’