promotional_ad

২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার

স্টিভ স্মিথকে আউট করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার উল্লাস
সাউথ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে চার-ছক্কা যেমন হচ্ছে তেমনি সেঞ্চুরির দেখাও মিলছে। বেশিরভাগ ম্যাচই হয়েছে তিনশ ছাড়িয়ে কিংবা কাছাকাছি পুঁজিতে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তো পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছে সাড়ে তিনশ তাড়া করে। এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই নিচ্ছে বাবর আজম, টেম্বা বাভুমা, কেন উইলিয়ামসনরা।

promotional_ad

অথচ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপার দাবিদার অস্ট্রেলিয়ার চিত্রটা একেবারে উল্টো। ৮ দলের টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি সারতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সুযোগ নেয় তারা। সবাই যখন বড় রানে প্রস্তুতি সারছে অস্ট্রেলিয়ার তখন দুইশ রান করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাহেশ থিকশানার ঘূর্ণিতে প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৫ রানে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে অবস্থা তো আরও করুণ। কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরি ও চারিথ আসালাঙ্কার হাফ সেঞ্চুরিতে ২৮১ রানে পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। 


আরো পড়ুন

ভুলে ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানোয় আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চায় পাকিস্তান

১১ ঘন্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীতের সময় ভারতের জাতীয় সংগীত ছাড়ে আইসিসি, ফাইল ফটো

৫০ ওভারের ক্রিকেটে এমন রান তাড়া করে জেতা অজিদের জন্য কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। অথচ ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ওয়াল্লালাগের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। সফরকারীদের হয়ে সবচেয়ে ২৯ রানের ইনিংসটা খেললেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। জশ ইংলিসের ২২ ও ট্রাভিস হেডের ১৮ রান ছাড়া বাকিদের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতেই পারেননি। শেষের ২৮ রান করতে অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারিয়েছে ৭টি। 


সিরিজ খোয়ানো ম্যাচে স্মিথরা অল আউট হয়েছেন মাত্র ১০৭ রানে। এশিয়াতে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ১৭৪ রানে। ওয়ানডে ক্রিকেটে অজিদের বিপক্ষে এটিই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, মার্কাস স্টইনিস কিংবা মিচেল মার্শরা ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া কতদূর যাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। 



promotional_ad

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাথু শর্ট, জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, হেডরা ফিরেছেন দ্রুতই। ইংলিস ও স্মিথ মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের দুজনের ৪৬ রানের জুটি ভেঙেছে ২২ রান করা ইলিংসের ব্যাটে। বাকিদের সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া স্মিথ করেছেন ২৯ রান। শেষের ২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়াল্লালাগে চারটি, হাসারাঙ্গা ও আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।


আরো পড়ুন

আসালঙ্কার সেঞ্চুরির পর থিকশানার স্পিনে জিতল শ্রীলঙ্কা

১২ ফেব্রুয়ারি ২৫
সেঞ্চুরির পর চারিথ আসালঙ্কা, ফাইল ফটো

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে অ্যারন হার্ডির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন পাথুম নিশানকা। ডানহাতি ওপেনার ফেরার পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন নিশান মাদুশকা ও কুশল। তারা দুজনে মিলে স্বাগতিকদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া মাদুশকা অবশ্য পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। 


মাদুশকার বিদায়ে ভাঙে কুশলের সঙ্গে তার ৯৮ রানের জুটি। চারে নেমে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। পরবর্তীতে ৯৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন কুশল ও আসালাঙ্কা। ১১৩ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা কুশল আউট হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পার বলে শর্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে। কুশল ১০১ রানে ফিরলেও ৬৬ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আসালাঙ্কা। তাদের ব্যাটেই ২৮১ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।




আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball