চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ম্যাচ বয়কট করতে ইসিবিকে চিঠি
ছবি: সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড, ফাইল ছবি
ফলে গ্রুপ পর্ব আফগানদের বিপক্ষে খেলতেই হবে জস বাটলার-জফরা আর্চারদের। যদিও সেই ম্যাচটি বয়কট করতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে চিঠি দিয়েছেন ১৬০ জনের বেশি ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তান ম্যাচটি না খেলার আহ্বান জানিয়ে ইসিবিকে চিঠি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি তোনিয়া আন্তোনিয়াজ্জি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইংল্যান্ড পুরুষ দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর জঘন্য আচরণ নিয়ে কথা বলতে। আমরা এটাও অনুরোধ করছি, ইসিবি যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কট করার কথা ভাবে। তাতে তালেবানের নির্মম আচরণের বিরুদ্ধে সেই বার্তা দেওয়া হবে।’
বিশ্বকাপ কিংবা আইসিসির টুর্নামেন্টে ম্যাচ বয়কট করার ইতিহাস আছে ইংল্যান্ডের। ২০০৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে কালো আর্মব্যান্ড পরে প্রতিবাদ করেছিলেন দুই তারকা ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হেনরি ওলোঙ্গা। তাদের দুজনের মতো করে না হলেও বর্ণবাদ ইস্যুতে ওলোঙ্গা ও ফ্লাওয়ারের পক্ষে ছিলেন নাসের হুসেইন। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। তবে বর্ণবাদ ইস্যুতে জিম্বাবুয়েতে ম্যাচ খেলতে যেতে রাজী ছিলেন না ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
বিশেষ করে পুরো দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নাসের ও প্রধান কোচ ডানকান ফ্লেচার। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ম্যালকম স্পিডের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করলেও সেদিন জিম্বাবুয়ে থেকে সাউথ আফ্রিকায় ম্যাচ সরিয়ে আনতে পারেননি ইংলিশরা। প্রতিবাদ স্বরূপ নিরাপত্তার কথা ভেবে জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়নি তারা। ফলে টস ছাড়াই ম্যাচ জিতে পূর্ণ পয়েন্ট পায় জিম্বাবুয়ে। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয় ইংল্যান্ডকে। কারণ ওই ম্যাচের কারণে পরের রাউন্ডে যেতে পারেননি নাসেররা।
এবার অবশ্য এমন পথে হাঁটছে না ইংল্যান্ড। ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড চিঠির উত্তর দিয়ে বলেছেন, ‘ইসিবি অবশ্যই তালেবান শাসনে আফগান নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি আচরণের কঠোর নিন্দা জানায়। আফগানিস্তান যে নারীদের ক্রিকেট খেলতে দিচ্ছে না, সে কারণে ইসিবি দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা থেকে বিরত আছে। তবে কোনো একটি দেশের একাকী প্রতিবাদের চেয়ে আইসিসি যদি সবাইকে নিয়ে কিছু করে, সেটিই বেশি কার্যকর হবে।’
২০০৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে কালো আর্মব্যান্ড পরে প্রতিবাদ করেছিলেন দুই তারকা ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হেনরি ওলোঙ্গা। তাদের দুজনের মতো করে না হলেও বর্ণবাদ ইস্যুতে ওলোঙ্গা ও ফ্লাওয়ারের পক্ষে ছিলেন নাসের হুসেইন। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। তবে বর্ণবাদ ইস্যুতে জিম্বাবুয়েতে ম্যাচ খেলতে যেতে রাজী ছিলেন না ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
বিশেষ করে পুরো দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নাসের ও প্রধান কোচ ডানকান ফ্লেচার। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ম্যালকম স্পিডের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করলেও সেদিন জিম্বাবুয়ে থেকে সাউথ আফ্রিকায় ম্যাচ সরিয়ে আনতে পারেননি ইংলিশরা। প্রতিবাদ স্বরূপ নিরাপত্তার কথা ভেবে জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়নি তারা। ফলে টস ছাড়াই ম্যাচ জিতে পূর্ণ পয়েন্ট পায় জিম্বাবুয়ে। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয় ইংল্যান্ডকে।