শহীদির রেকর্ড ২৪৬, আফসারের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে বেনেটের ৫ উইকেট
ছবি: হাশমতউল্লাহ শহীদি (বামে), আফসার জাজাই (ডানে), জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
আফগানিস্তানের হয়ে শহীদির আগে কেউই দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করেননি। ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তিনি কেবল পঞ্চম ক্রিকেটার, যিনি ক্যারিয়ারের প্রথম দুই সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পেরেছেন। এর আগে ২০২১ সালে আবুধাবিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ছিল সেটিই। এই টেস্টে অবশ্য সেই রেকর্ড নিজের নামে করে নিয়েছিলেন রহমত শাহ। ২৩৪ রান আসে তার ব্যাটে। একদিন না যেতেই সেই রেকর্ডটি পুনরায় নিজের নামে করে নেন শহীদি, করেন ২৪৬ রান। ৪৭৪ বলে খেলা ইনিংসে ২১টি চার মেরেছেন তিনি।
তার সঙ্গে পাঁচ নম্বরে নেমে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৬৯ বলে ১১৩ রান করেন আফসার জাজাই। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ২১১ রান। এই জুটি ভাঙেন শন উইলিয়ামস। তার লেংথ ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাজাই। পঞ্চম উইকেটে শহিদউল্লাহকে নিয়ে দলের রান সাড়ে ছয়শ পার করেন শহীদি। ৪০ রানের এই জুটি ভাঙেন বেনেট। তাকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শহীদি।
এই জুটি ভাঙার পর দ্রুতই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এরপর ২০ রানে শেষ ছয়টি উইকেট হারায় দলটি। এর মধ্যে বেনেট একই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দেন আফগানিস্তানের ইনিংস। ৯৫ রান খরচায় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। তবে নিজেদের দশম টেস্টেই ছয়শ রানের ঠিকানায় পা রেখে আরেকটি রেকর্ড গড়ে আফগানরা। এত কম টেস্টে প্রথমবার ছয়শ রান করতে পারেনি আর কোনো দলই।
১১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫৮৬ রান করা দলটি এই ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান করলেও চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ৮৮ রানে। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে তখনও ২৫ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। তবে নাটকীয় কিছু হতে না দিয়ে সেখান থেকে দলকে কিছুটা টেনে তোলেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন। তারা দলকে ১৪২ রানে নিয়ে যাওয়ার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি করেন ৫৮ বলে ২৪ রান করে। অভিষিক্ত বেন কারান রান আউট হন ৬১ বলে ৪১ রান করে। তাকুডজোয়ানাশে কাইটানোকে পাঁচ রানে এলবিডব্লিউ করে দেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার জহির খান। অফ স্পিনার মোহাম্মদ গাজানফারের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড চার রান করা ডিওন মেয়ার্স। শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামস ৩৫ এবং আরভিন ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।