সুপার ওভারে গড়াল বিশ্বকাপ ফাইনাল

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান। জবাবে ব্যাটিং করছে ইংল্যান্ড।
সুপার ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনালঃ
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা সে ওভার থেকে ১৪ রান নিতে পারেন বেন স্টোকস। এর মধ্যে একটি ছয় ও একটি চার ছিল। এর ফলে যে কারণে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাই হয় ফাইনাল ম্যাচ। তাই সুপার ওভারে নির্ধারণ হবে চ্যাম্পিয়ন।
বাটলার-স্টোকসের সেঞ্চুরি জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ডঃ
মাত্র ৮৬ রানে শীর্ষ চার উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের রান বাড়াতে থাকেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটমস্যান জস বাটলার এবং বেন স্টোকস। এই দুজনের ব্যাটেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। এই দুজনে ইতিমধ্যে শতরানের রানের জুটি গড়েছেন। জুটি গড়ার পথে ৫৩ বলে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাটলার। স্টোকসও হাফ সেঞ্চুরি করেন ৫৩ বলে।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইংল্যান্ডঃ

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের করা ১৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন জো রুট। এর পরের বলেই একই কায়দায় খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। রুটের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৭ রান। একপ্রান্ত আগলে রাখা জনি বেয়ারস্টো ৩৩ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়েছেন।
ফার্গুসনের বলে কাট করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্পে বল লাগলে আউট হন বেয়ারস্টো। ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান জিমি নিশামের বলে পয়েন্টে জিমি নিশামের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছেন। মরগানের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান।
দলীয় হাফ সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডঃ
দারুণ শুরু করলেও ব্যক্তিগত ১৭ রানে তিনি ম্যাট হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে ১৪ ওভারের মধ্যেই দলীয় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন রয়ঃ
ট্রেন্ট বোল্টের করা প্রথম বলটিই মিডল স্টাম্পে পিচ করে ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের প্যাডে লাগে। নিউজিল্যান্ডের জোড়ালো আবেদনে সারা দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেয় ইংল্যান্ড। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি মিডল স্টাম্পে পিচ করে লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গেছে। ফলে আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান রয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
নিউজিল্যান্ডঃ ২৪১/৮ (৫০ ওভার)
(নিকোলস ৫৫, লাথাম ৪৭; প্লাঙ্কেট ৩/৪২, ওকস ৩/৩৭)
ইংল্যান্ডঃ ২৪১/১০ (৫০ ওভার)