রিয়াদকে সাকিবের মেরে খেলার লাইসেন্স

ছবি: মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
শুরুতেই তামিমকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন লিটন ও সৌম্য। এরপর সৌম্য ফেরার পরই দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাজঘরে ফেরেন লিটন ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ২১১ রানের বড় পুঁজি এনে দিয়েছিলেন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। সাকিব ৪২ ও মাহমুদুল্লাহ ৪৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।

চতুর্থ উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ব্যাটিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশ দলপতি সাকিব মনে করেন এই রকম ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেললেই মাহমুদুল্লাহ ভালো খেলেন। মাহমুদুল্লাহকে এভাবে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলপতি।
'রিয়াদ ভাই তখনই ভাল করে যখন উনি এরকম ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে থাকে। উনি কিছু কিছু সময় আছে, আমার ব্যক্তিগত ধারণা ভুলও হতে পারে ঠিকই হতে পারে। উনি ইনিংস বিল্ড করার চেষ্টা করে। আমার মনে হয় এটা ভুল কৌশল উনার। এই পথটাই (মেরে খেলা) ওনার জন্য মোর সুইটেবল বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। ওয়ানডেতেও।'
এমন ইতিবাচকতা নিয়ে খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সফল হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার ৪০ রান না পেরুতেই চার উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ১৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। চতুর্থ উইকেটে সাকিব-মাহমুদুল্লাহ মিলে গড়েছিলেন ২২৪ রানের জুটি। সাকিব ১১৪ রানে আউট হলেও মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রান করে।
'কার্ডিফের ইনিংসটা যদি দেখেন উনি কিন্তু কিন্তু সময় নেয়নি, উনি প্রথমে আক্রমণ করেছে। আমার কাছে মনে হয় উনার এই অ্যাপ্রোচ ছোট সংস্করণের জন্য অনেক ভাল। এমনকি টেস্টেও যদি প্রথমে মারতে পারে উনার জন্য যেটা হয় উনার শরীর চলা শুরু হয়ে যায়, ফিট মুভমেন্ট ভাল হয়ে যায়। সাধারণ এসব জায়গায় ইনিংসটা উনি বড় করতে পারে। আমি মনে করি উনার এটা ঠিক অ্যাপ্রোচ।'