বরিশালের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বে অ্যাকশন নেবে বিসিবি

ছবি: ফাইল ছবি

এনসিএলে সবশেষ কয়েক মৌসুমে বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। বাঁহাতি ব্যাটারের অধীনে টানা তিন মৌসুমেই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল বরিশাল। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও সুবিধা করতে পারেনি তারা। গত ডিসেম্বরে হওয়া টুর্নামেন্টে অবশ্য অধিনায়ক ছিলেন সোহাগ গাজী। তাদের দুজনের অধীনে দুইটি গ্রুপ তৈরি হওয়ায় বরিশালের ক্রিকেটের এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
‘ইংল্যান্ডকে কঠিন সময় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বাজেভাবে হারবে বাংলাদেশ’
১ ঘন্টা আগে
সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ জনের স্কোয়াডে না থাকায় ফজলে রাব্বিকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন ইসলামুল হাসান। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার পরই নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সোহাগের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন মইন খান। বরিশাল বিভাগের কোচদের বিপক্ষেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোহাগ গাজীর বিরুদ্ধেও বড়সড় অভিযোগ আছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে তৈরি করে বিভাগীয় কোচের কাছে পাঠানোর পর সেটা দেখে দল চূড়ান্ত করেন জাতীয় দলের নির্বাচকরা। ডানহাতি এই স্পিনার নাকি ৩০ জনের তালিকা করেছিলেন। এমন অভিযোগও আছে তাদের ৩-৪ জন দলে থাকারই যোগ্য নন। এ ছাড়া এক ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি অন্য ক্রিকেটারের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এসব নিয়ে অভিযোগ আসায় পুরো বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে বিসিবি।
প্রথমবারের মতো এনসিএলে ময়মনসিংহ বিভাগ
৯ আগস্ট ২৫
এ প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘বরিশালকে নিয়ে আসলে আমরা অনেক আলাপ-আলোচনা এবং চিন্তাভাবনা করেছি। যেহেতু অন্য কোনো বিভাগকে নিয়ে ওই ধরনের কথা বার্তা হয় না। তারা ম্যানেজার, কোচ, অধিনায়ক নিয়ে খুশি না—খেলোয়াড়দের মধ্যেও দ্বন্দ্ব আছে। এটা তো আসলে হওয়া উচিত না। এটা নিয়ে আমরা অনেক লম্বা সময় আলাপ করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা খুব সিরিয়াসলি পর্যবেক্ষণ করব।’
প্রমাণ পেলে শাস্তিও দিতে চায় বিসিবি। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি মনে হয় এবং দেখি কেউ বা কারও জন্য খেলা নষ্ট হচ্ছে বা আমাদের মান-সম্মান খারাপ হচ্ছে তাহলে আমরা অ্যাকশন নিব। প্রত্যেকটা বিভাগের প্রত্যেকটা ম্যানেজারকে আমরা চার-পাঁচদিন পর ডেকেছি। আমরা তাদের সঙ্গে কথাবলব, গাইড লাইন দিব যেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। যদি ওরা ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যতে তাদেরকে এই কাজ দিব না।’
ক্রিকেটারদের বেপরোয়া আচরণের কারণে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান প্রধান কোচ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান মজুমদার। পরবর্তীতে দায়িত্ব দেয়া হয় ওয়াহিদুল গনিকে। বর্ষীয়ান কোচের সামনেও বাজে আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। তবে আগামী মৌসুমে পুরো কোচিং স্টাফ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলকে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কও কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।