চিটাগং কিংসের কাছে সুদসহ প্রায় ৪৬ কোটি টাকা পাওনা বিসিবির

ছবি: চিটাগং কিংস

লম্বা সময়ের বিরতি গিয়ে গত মৌসুমে বিপিএলে ফেরে চিটাগং। নিজেদের ফেরার মৌসুমেই মাঠের পারফরম্যান্সে চমক দেখায় তারা। যদিও ফাইনালে ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে শিরোপা জিততে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজি। মাঠের ক্রিকেটে পারফরম্যান্সে আলো ছড়ালেও মাঠের বাইরে নানারকম বিতর্কে জড়িয়েছে। ২০২৫ বিপিএলের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শহীদ আফ্রিদিকে।
বিতর্কিত বিপিএলের জন্য বিসিবিকে দায় দিচ্ছে চিটাগং
১১ আগস্ট ২৫
যদিও পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে পারিশ্রমিক দেয়নি তারা। বিসিবির কাছে বিচার দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ ছাড়া উপস্থাপিক ইয়াশা সাগর, ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলামদেরও পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি চিটাগং। এমনকি হোটেল ভাড়াও বকেয়া রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

গত মৌসুমের পাশাপাশি বিপিএলের দুই আসরেও কয়েক কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে তারা। যা পেতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছে বিসিবি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট সংস্থা। বিপিএলের প্রথম দুই আসরের ক্রমাগতভাবে চুক্তির আইনি ও আর্থিক শর্ত ভঙ্গ করেছে এস.কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। ২০১৩ সালের ৭ মে সালিশি নোটিশ ও চলতি বছরের জুলাইয়ে তাদেরকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে চুক্তির শর্ত রক্ষা করতে পারেনি।
বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাইয়ে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান পাইলটের
১৩ ঘন্টা আগে
বিসিবির পাওনার মধ্যে রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, আয়কর এবং ক্রিকেটারদের ও দল সংশ্লিষ্টদের পারিশ্রমিক। আচমকা গত বিপিএলের আগে তাদের ফেরানো হয়। বিপিএলে ফেরার আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিসিবির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে চিটাগং। যেখানে ৯ কোটির পরিবর্তে সাড়ে তিন কোটি টাকা দিতে বলা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। তবে বিপিএল শেষ হয়ে গেলেও সেই অর্থ পরিশোধ করেনি চিটাগং।
চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের কাছে ১৫ লাখ ৬৪ মার্কিন ডলার পায় বিসিবি। তবে ২০১২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুদ এসেছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ মার্কিন ডলার। সবমিলিয়ে চিটাগংয়ের কাছে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ মার্কিন ডলার পাওনা দাবি করেছে বিসিবি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৬ কোটি টাকার মতো। পুরো টাকা পেতে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার পাশপাশি চিটাগংয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও বাতিল করেছে বিসিবি।