ভয়ঙ্কর চার্লসকে ফেরালেন সাদাব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সিলেট থান্ডারঃ ৯৭/৩ (১১ ওভার) (মিঠুন ১২*, মোসাদ্দেক ১*; মেহেদি ১/২১, আফ্রিদি ১/২৩)
ফিরলেন চার্লসঃ ৮ ছক্কা এবং ৩ চারের সাহায্যে মাত্র ৪৫ বলে ৭৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে বিদায় নেন জনসন চার্লস। ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটসম্যান ইনিংসের ১১তম ওভারে সাদাব খানের বলে আসিফ আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এই আসিফের হাতেই শুরুতে শূন্য রানে জীবন পান চার্লস।
চার্লসের হাফ সেঞ্চুরিঃ দ্রুত দুই উইকেট হারালেও দারুণ ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সিলেটেের ক্যারিবিয়ান রিক্রুট জনসন চার্লস। ৫ ছয় এবং ৩ চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।

আফ্রিদির প্রথমঃ সাত নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে আব্দুল মজিদকে মেহেদি হাসানের হাত ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান ঢাকার পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। ফলে জনসন চার্লসের সঙ্গে মজিদের ৫১ রানের জুটির সমাপ্তি হয়।
চার্লসের ব্যাটিং তাণ্ডবঃ মাত্র এক রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন জনসন চার্লস। এরপর মেহেদি হাসানের বলে প্রথমেই ক্যাচ তোলেন তিনি।কিন্তু তাঁর ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন পাকিস্তানি আসিফ আলী। শূন্য রানে জীবন পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাটিং তাণ্ডব চালানো শুরু করেন। চার ছক্কার ফুলঝুরিতে ঢাকার বোলারদের পরীক্ষা নিতে থাকেন তিনি।
মেহেদির প্রথম আঘাতঃ ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই সিলেট শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে নিজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় এই ক্যারিবিয়ানকে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা এবং সিলেট। প্রথম দেখায় সিলেট থান্ডারকে ২৪ রানে হারায় মাশরাফির দল।
প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে দুই দলেরই জয়ের বিকল্প নেই। ৭ দলের মধ্যে ঢাকার অবস্থান এখন চার নম্বরে। ৬ নম্বরে রয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের নেতৃত্বাধীন সিলেট থান্ডার।
সিলেট থান্ডার একাদশঃ
আন্দ্রে ফ্লেচার, আব্দুল মজিদ, জনসন চার্লস, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন মিলন, সোহাগ গাজী, শীরফানে রাদারফোর্ড, ক্রিসমার সান্টোকি, এবাদত হোসেন, নাজমুল ইসলাম।
ঢাকা প্লাটুন একাদশঃ
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয় (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান, আসিফ আলী, জাকের আলী, মুমিনুল হক, শহীদ আফ্রিদি, সাদাব খান, ওয়াহাব রিয়াজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), হাসান মাহমুদ।