মুশফিককে এবাদতের 'স্যালুট'

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ২৩২ রান করেছে সিলেট থান্ডার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের সেঞ্চুরি এবং জনসন চার্লসের ৯০ রানের বিধ্বংসী দুটি ইনিংসে এই সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাবে ব্যাটিং করছে খুলনা।
মুশফিককে এবাদতের স্যালুটঃ
এরপর দশম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান রুশোও। চারটি চার ও সমান ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ রান করে নাভিন উল হকের শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং শামসুর রহমান।
বেশিদূর যেতে পারেননি শামসুর। মাত্র সাত রানে মনির হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। দলীয় ১০০ রানে ফিরে যান মুশফিকও। এবাদত হোসেনের বলে সোহাগ গাজীকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। মুশফিক ফেরার পথে সবসময়ের মতো স্যালুট করে উদযাপন করেন এবাদত।
রুশোর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্বপ্ন দেখছে খুলনাঃ
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ফিরে যান খুলনার আফগান রিক্রুট রহমানুল্লাহ গুরবাজ (০)। মনির হোসেনের বলে ফিরে যান তিনি। এরপর রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রাইলি রুশো।

আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রুশো এবং খুলনার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সাইফ হাসান দলের রান বাড়াতে থাকেন। দুজন মিলে দলের রানের খাতায় যোগ করেন ৭৪ রান। ২০ বলে ২০ রান করে রানআউট হয়ে ফিরে যান সাইফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সিলেট থান্ডারঃ ২৩২/৫ (২০ ওভার)
(ফ্লেচার ১০৩*, চার্লস ৯০; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৭)
খুলনা টাইগার্সঃ ১১১/৫ (১৩ ওভার)
(ফ্রাইলিঙ্ক ১৭*, মিরাজ ০*)
প্রথম ইনিংসের বিবরণঃ
টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে সিলেট। প্রথম ওভারেই ফিরে যান সিলেটের ওপেনার আব্দুল মজিদ (২)। রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন ফ্লেচার এবং চার্লস।
প্রথমে চার্লস মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। পরে সমান বলে হাফ সেঞ্চুরি পান ফ্লেচারও। এই দুজনের তাণ্ডবে নবম ওভারের প্রথম বলে দলীয় শতকের দেখা মেলে সিলেটের। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে শত রানের জুটিও গড়েন দুজন।
দুজনের ১৫০ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। শহিদুলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৯০ রান করেন চার্লস। ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার।
চার্লস বিদায় নেয়ার পর দ্রুত বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন (৩)। ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তারপরেও তাণ্ডব চালিয়ে যান ফ্লেচার। তাঁকে সঙ্গ দিতে আসা মোসাদ্দেক করেন ১১ বলে ১১ রান।
রবিউল হকের বলে রাইলি রুশোর এক হাতে লুফে নেয়া দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান সিলেটের অধিনায়ক। ইনিংসের ১৯তম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ফ্লেচার।
শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার।
সিলেটের করা ২৩২ রান বিপিএল ইতিহাসের চতুর্থ দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। একইসঙ্গে চলতি আসরে এটা দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
খুলনা টাইগার্স একাদশঃ রহমতউল্লাহ গুরবাজ, সাইফ হাসান, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শামসুর রহমান শুভ, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, মেহেদী হাসান, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলাম ও রবিউল হক।
সিলেট থান্ডার একাদশঃ আন্দ্রে ফ্লেচার, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), জনসন চার্লস, মোসাদ্দেক হোসেন (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন মিলন, ক্রিসমার সান্টোকি, মনির হোসেন, এবাদত হোসেন, সোহাগ গাজী ও নাভিন উল হক।