|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে ১৬২ রানের বড় সংগ্রহ করেছে সিলেট থান্ডার। জবাবে ব্যাটিং করছে চট্টগ্রাম।

মিরপুরে ইমরুল ঝড়ঃ

ফারনান্দো ফেরার পর আগ্রাসী খেলতে থাকেন বিপিএলের গত আসরের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দৃষ্টিনন্দন শর্টে চার-ছয় হাঁকাতে থাকেন তিনি।

ইমরুলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন রায়ান বার্ল। মাত্র তিন রান করা বার্লকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেরান সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক। এরপরে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়ালটনকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন ইমরুল। দুজনই আগ্রাসী খেলছেন।

অপুর দুই বলে দুই উইকেটঃ

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রাম। সিলেটের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর টানা দুই বলে ফিরে যান জুনায়েদ সিদ্দিকী (৪) এবং নাসির হোসেন (০)।

অবশ্য চট্টগ্রামের ওপেনার আভিশকা ফারনান্দো আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছেন। যদিও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। এই লঙ্কানের ব্যাটে আসে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান। ক্রিসমার সান্টোকির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
সিলেট থান্ডারঃ ১৬২/৪ (২০ ওভার)
(মিঠুন ৮৪*, চার্লস ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯; রুবেল ২/২৭)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ ১১৯/৪ (১৪.১ ওভার)
(ইমরুল ৪৫*, ওয়ালটন ২৯*)

প্রথম ইনিংসের বিবরণঃ

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এ দিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চ্যালেঞ্জার্স ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রায়াদ এমরিট।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ওপেনার রনি তালুকদারকে (৫) শুরুতেই ফিরিয়েছেন চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেন। রুবেলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রনি।

এরপর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লস। সিলেটের এই ক্যারিবিয়ান রিক্রুটকে বেশি ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই ফেরান নাসুম আহমেদ। ফেরার আগে চার্লস করেন ২৩ বলে সাতটি চারে ৩৫ রান। এরপর জীবন মেন্ডিস (৪) অবশ্য বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি।

এ দিন এক অন্য মিঠুনকে দেখেছে বাংলাদেশের সমর্থকরা। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে মিঠুন পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। এর মধ্যে নাসুম আহমেদের এক ওভারে তিনটি ছয় হাঁকান তিনি। 

মিঠুনকে দায়িত্বশীল সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। রুবেলের শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের জুটি।

চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় মিঠুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৮৪ রান করে। বিপিএলে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে রুবেল ২৭ রান খরচায় দুই উইকেট নেন।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশঃ ইমরুল কায়েস, আভিশকা ফারনান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকী, রায়ান বার্ল, চ্যাডউইক ওয়ালটন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, মুক্তার আলী, রায়াদ এমরিট (অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ ও রুবেল হোসেন।

সিলেট থান্ডার একাদশঃ জনসন চার্লস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন (অধিনায়ক), জীবন মেন্ডিস, নাজমুল হোসেন, সোহাগ গাজী, নাভিন উল হক, ক্রিসমার সান্টোকি, এবাদত হোসেন ও নাজমুল ইসলাম অপু।