মুস্তাফিজকে ছেড়ে দিবে মুম্বাই?

ছবি:

নিজেদের শেষ ম্যাচে দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের কাছে হেরে যাওয়ায় আসর থেকেই ছিটকে পরতে হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। এবার আর প্লে অফে খেলা হল না রোহিত শর্মার দলকে।
অথচ আইপিএলের 'রয়্যাল টিম' হিসেবেই পরিচিত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে তিনটি শিরোপা জিতেছে মহারাষ্ট্রের এই দলটি। এতবার শিরোপা জিতেনি অন্য কোনো দল।
তবে অন্যান্য দলের থেকে মুম্বাইয়ের ক্রিকেটার কেনার ধরণ অনেক বেশি গোছানো। আইপিএলের শুরু থেকেই নিলামে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর নজির আছে দলটির।
সেই প্রেক্ষিতে শেষবারের নিলামে মুস্তাফিজুর রহমানকেও দলে নিয়েছে তারা। ভাবা হচ্ছিলো সানরাইজার্সের শিরোপা জয়ে দারুণ অবদান রাখা মুস্তাফিজ মুম্বাইয়ের জার্সি গায়েও আইপিএল মাতাবেন।

কিন্তু এমন কিছুই হল না। এবারের আইপিএলে সাদামাটা পারফর্মেন্স করলেন মুস্তাফিজ। মোট সাতটি ম্যাচ খেলে ৮.৩৬ ইকোনমি রেটে সাতটি উইকেট শিকার করেছেন তিনি, যার মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার ৩/২৪।
তাই আইপিএলে মুম্বাইয়ের ব্যর্থতার অন্যতম খলনায়কের তালিকাতেও আছে তার নাম। এমনকি আগামী আইপিএলে মুস্তাফিজকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যেও জোর দাবী জানাচ্ছে মুম্বাইয়ের স্থানীয় পত্রিকাগুলো।
মুম্বাইয়ের হয়ে চলতি আসরে ভালো খেলতে পারেননি দলের ক্যারিবিয়ান তারকা কাইরন পোলার্ডও। মুস্তাফিজের মতোই শুরুর দিকে নিয়মিত দলে জায়গা পেলেও মাঝের দিকে দলে জায়গা হারিয়েছেন তিনিও।
মূলত এই দুজনের পারফর্মেন্সকেই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এই দুজনকে সামনের আসরে ছেড়ে নিয়ে নতুন কোনো ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর কথা উঠে এসেছে সেখানকার পত্রিকাগুলোতে।
এছাড়াও প্রোটিয়া তারকা জেপি ডুমিনি এবং কিউই পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের পারফর্মেন্সেও হতাশা প্রকাশ করেছে মুম্বাইয়ের স্থানীয় পত্রিকা গুলো। পৃথক পৃথক পত্রিকায় এসেছে ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতি।
ম্যাকক্লেনাঘানের বিষয়ে তাদের মতামত, কিউই এই পেসার উইকেট নিলেও প্রচুর রান দেন বোলিং করতে এসে। আর জেপি ডুমিনির ব্যাপারে তাদের যুক্তি মুম্বাইয়ের টপ বা মিডল অর্ডারে জায়গা না পেলে তাকে ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
অবশ্য এদের নিয়ে যুক্তিগুলো একেবারে বানোয়াট নয়। এই আসরে ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডুমিনি। কিন্তু তাকে ব্যাট করতে হয়েছে সাত বা আটে, যখন ইনিংসের কয়েক বল বাকী থাকে তখন। আর ম্যাকক্লেনাঘান ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিলেও তার ইকোনমি রেট সাড়ে আটের বেশি।