প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে রূপগঞ্জের দাপুটে জয়

ছবি:

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ২৪ হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জের দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে মাত্র ২১৫ রানে অল আউট হয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান না করেই প্রাইম ব্যাংক ওপেনার মেহেদী মারুফ সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ শহীদের বলে বোল্ড হয়ে।
কুনাল ৯ রান করে আসিফ হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ নাঈমের হাতে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাহনাজ আহমেদ ৪০ রান করে রান আউটের শিকার হয়েছেন। মেহরাব হোসেন জুনিয়র ২১ রান করে আসিফের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৮ রান করা আল আমিন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন মোশাররফ হোসেনের বলে। তারপর নাহিদুল ৩২ ও সাজ্জাদুল হক ২৫ রান করে ফিরে গেলে আর কেউই ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি।
প্রাইম ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে ৪৮.২ ওভারে তাদের ইনিংস থামে ২১৫ রানে। রূপগঞ্জের হয়ে মোহাম্মদ শহীদ, আসিফ হাসান ও মোশাররফ হোসেন ৩ টি করে উইকেট শিকার করেন। ফলে, ২৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

এর আগে, এই ম্যাচে টসে জিতে রূপগঞ্জকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মেহেদি মারুফ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ রানের মাথায় ওপেনার সালাউদ্দিন পাপ্পুর উইকেটটি হারিয়ে বসে রূপগঞ্জ। শাহনাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম।
এরপর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৭ রান যোগ করেই ফিরে যেতে হয় অভিষেক মিত্রকেও। দেলোয়ার হোসেনের বলে নাহিদুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ওপেনার আব্দুল মজিদ এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সামি আসলামের ব্যাটে এরপর কিছুটা বিপদ কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলো রূপগঞ্জ।
তবে ৫৩ রানের মাথায় সামি আসলামকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আবারো নাইম ইসলামের দলটিকে বিপদের মুখে ফেলে দেন নাহিদুল ইসলাম। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও হাল ছাড়েননি ওপেনার আব্দুল মজিদ।
অধিনায়ক নাইমকে সাথে নিয়ে তিনি জুটি গড়েন ১৩৫ রানের। আর এই জুটি গড়ার পথেই তুলে নেন এবারের ডিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি মজিদ। ১১০ রান করে দেলোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
এর আগের ম্যাচেও দারুণ খেলেছিলেন মজিদ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৭০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এবার রূপগঞ্জের বিপক্ষেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ২৭ বছর বয়সী এই ওপেনার।
এদিকে রূপগঞ্জ দলীয় ১৮৮ রানে মজিদের উইকেটটি হারানোর পর হাফসেঞ্চুরি তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন অধিনায়ক নাইম ইসলাম। কিন্তু এরপর তিনিও আর স্কোর বড় করতে পারেননি। কেননা ৫১ রান করে তাঁকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হতে হয়েছে।
নাইম ফিরে গেলে পরবর্তীতে তুষার ইমরানের ১২ এবং নাজমুল হোসেন মিলনের ২৬ রানের ইনিংসে ২৩৯ রানের মাঝারি পুঁজি দাঁড়া করায় রূপগঞ্জ। মূলত রূপগঞ্জকে কম রানে আটকে রাখার পেছনে সবথেকে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন প্রাইম ব্যাংকের ৩৩ বছর বয়সী মিডিয়াম পেসার দেলোয়ার হোসেন।
৯ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। যেখানে সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল মজিদের উইকেটটিও ছিলো। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম এবং নাহিদুল ইসলাম প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।