promotional_ad

অশ্বিনকে ধোঁকা দিয়ে ভারত বধ করেন আফ্রিদি

ছবি- সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


ব্যাট হাতে বরাবরই আক্রমণাত্মক খেলতে অভ্যস্ত ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের এই তারকা অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রতিপক্ষ বোলারের উপর চড়াও হচ্ছেন এমন দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যেতো একটা সময়। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে তেমনই একটি ম্যাচ প্রত্যক্ষ করেছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। 


সেবারের টুর্নামেন্টটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে রীতিমত ব্যাটিং তান্ডব চালান পাকিস্তানের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদি। মাত্র ১৮ বলে ৩৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে মাত্র এক উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের জনপ্রিয় উপস্থাপক জয়নাব আব্বাসের লাইভ শোতে ৬ বছর আগেকার সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করেন আফ্রিদি। 



promotional_ad

ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ভারতের দেয়া ২৪৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২৩৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। জয়ের জন্য রবীচন্দ্র অশ্বীনের শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের।


সেই ওভারের প্রথম বলেই সাঈদ আজমলকে বোল্ড করে ভারতকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান অশ্বিন। কিন্তু ক্রিজে যে তখনও টিকে ছিলেন আফ্রিদি! আর এতেই কাল হলো ভারতের। 
সবাই যখন বিরাট কোহলিদের জয় অবশ্যম্ভাবী বলে ধরে নিয়েছিলেন সেসময় অশ্বিনের তিন এবং চার নম্বর বলে টানা দুটি ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন আফ্রিদি। আর পাকিস্তানের কাছে এই


পরাজয়ের ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে। শেষ ওভারে অশ্বিনকে সামলানোর জন্য নিজেই স্ট্রাইকে থাকতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। সেকারণে দুই টেইল এন্ডার ব্যাটসম্যান আজমল এবং জুনায়েদ খানকে এক রান নিয়ে তাঁকে স্ট্রাইক দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে আজমল সফল না হলেও ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নিতে সক্ষম হন জুনায়েদ। এরপরের ইতিহাস তো সকলেরই জানা। 



অশ্বিনের বিরুদ্ধে কৌশল অবলম্বন করার ব্যাপারে আফ্রিদি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ছিল সাঈদ (আজমল)। তাকে বললাম একটা সিঙ্গেল নিতে। বড় শট না খেলতে। কিন্তু সে সেটিই করতে গেল আর উইকেট খোয়ালো। অশ্বিন খুব ভালো বোলিং করেছিল ওই ম্যাচে। এরপর উইকেটে শেষ ব্যাটসম্যান জুনায়েদ খান এলো। তাকেও বললাম শুধু একটা সিঙ্গেল নিতে। কোনোভাবে সিঙ্গেলটা নিতে পেরেছিল জুনায়েদ। আমি স্ট্রাইকে ফিরলাম। অশ্বিনের বিরুদ্ধে যা করেছিলাম, সেটি হলো সে বল করার আগে আমি লেগ সাইডে তাকিয়েছিলাম।'


স্ট্রাইক পাওয়ার পর অশ্বিনকে কৌশল খাটিয়ে লেগ স্পিন করতে বাধ্য করেন আফ্রিদি। এরপরেই বিশাল ছক্কায় বল সীমানা ছাড়া করেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সী এই স্পিনারকে ধোঁকা দেয়া প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, 'অশ্বিনকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম যে আমি লেগ সাইডে মারতে যাচ্ছি। যেন সে অফস্পিন না করে। অশ্বিন তাই করেছিল। সে লেগস্পিন করলো। আমি এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা হাঁকালাম। পরের ডেলিভারিটা কঠিন ছিল। ব্যাটের মাঝ বরাবর লাগাতে পারিনি। দ্বিধায় ছিলাম বলটা সীমানা পার হবে কি হবে না। কিন্তু বলটা ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে ছয় হয়ে গেল। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball