কিউইদের হেসেখেলে হারাল বাংলাদেশ

ছবি: ৫৫ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় (বামে) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি

১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ছয় ওভারের মধ্যেই নাইম শেখ এবং পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুজনকেই সাজঘরে ফেরান ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। নাইম ২০ বলে ১৮ এবং ইমন ১২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান। ইমনের ঝড়ে ততক্ষণে ৫৩ রান তোলে বাংলাদেশ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যা বইয়ে ‘এ’ দলে অমিত
২০ ঘন্টা আগে
এরপর ৫৫ রানের জুটি গড়েন বিজয় অঙ্কন। ৪৫ বলে ৩৮ রানে ফিরে যান বিজয়। তাকে ফেরান ফক্সক্রফট। এরপর অঙ্কন ৬১ বলে ৪২ এবং নুরুল হাসান সোহান ২৬ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই শরিফুল-খালেদ আহমেদের তোপের মুখে পড়ে কিউইরা। মাত্র ১৩ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় দলটি।

শরিফুলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন আট বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা ডেল ফিলিপস। একইভাবে শূন্য রানে ম্যাথু বয়েলকে ফেরান খালেদ। বয়েলের মতো মোহাম্মদ আব্বাসকেও শূন্য রানে ফেরান খালেদ।
বাংলাদেশের হয়ে বড় কিছু অর্জন করতে চাই, এটাই বড় লক্ষ্য: সোহান
৪ মে ২৫
খালেদের করা দলের চতুর্থ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর সপ্তম ওভারে নিক কেলির উইকেট হারায় কিউইরা। ১০ বল খেলা এই ব্যাটারকে শূন্য রানে থাকা অবস্থায় বোল্ড করেন শরিফুল। ১৩ রানের মধ্যে যে চারটি উইকেট কিউইরা হারায়, এদের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। দলটির মোট পাঁচ ব্যাটার শূন্য রানে ফিরেন এ দিন।
একপ্রান্তে টিকে থেকে দলের রান আস্তে আস্তে বাড়াচ্ছিলেন রিস মারিউ। ২৫ বলে সাত রান করে তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন জস ক্লার্কসন। দলীয় ৫০ রানের আগেই ক্লার্কসনকে বিদায় করেন ইবাদত হোসেন।
৬২ রানের মধ্যে আরো তিনটি উইকেট হারায় কিউইরা। তানভিরের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ৫০ বলে ৪২ রান করা মারিউ। ১৭ বলে চার রান করা উইকেটরক্ষক মিচেল হে'কে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন তানভির। একই ওভারে ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ককে শূন্য রানে বোল্ডও করেন তিনি।
৬২ রানে আট উইকেট ও ৮৫ রানে ৯ উইকেট হারানো দলটিকে দেড়শ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দেন ফক্সক্রফট। ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৬৪ বলে ৭২ রান করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেয়া বেন লিস্টার ১০ বলে চার রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ-তানভির তিনটি করে ও শরিফুল-ইবাদত দুটি করে উইকেট নেন।