ঢাকার ক্লাবদের অভিযোগের পর বিসিবির সংস্কার কার্যক্রম স্থগিত
ছবি: বিসিবির লোগো
সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তীকালীন সরকার। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনায় বিসিবির গঠনতন্ত্রও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে দেয়ার পর শুরু হয় বিতর্ক। হঠাৎ করেই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আসে গঠনতন্ত্র সংশোধন কার্যক্রমের বিষয়টি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়ানডের হতাশা ভুলতে চায় বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগেনতুন প্রস্তাবনায় ঢাকার ক্লাবের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান হয়ে উঠছে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থাগুলো। গুঞ্জন অনুযায়ী, বিসিবিতে ক্লাব কোটার পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে ৪-এ নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন তারা। এ ছাড়া ২৫ জনের পরিবর্তে ২১ পরিচালকের প্রস্তাব দেয় নাজমুল আবেদিনের কমিটি। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাগে-ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন ঢাকার ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিরা।
সিসিডিএমের আওতাধীন ঢাকার বিভিন্ন লিগের ৭৬টি ক্লাবের ৬৭ জন প্রতিনিধি মিলে সংবাদ সম্মেলন করে লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারি প্রথম বিভাগ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাবগুলো বর্জন করায় তা শুরু হয়নি। এ ছাড়া বিসিবি পরিচালক বর্তমানে ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিনের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন ক্লাবের প্রতিনিধিরা। তাদের এমন অভিযোগের পর সংস্কার কমিটির কার্যক্রমই স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।
এমন খবর নিশ্চিত করে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘আপনারা জানেন যে গঠনতন্ত্র সংশোধনী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আজকের পরে সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের কার্যক্রমটা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কমিটি পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হবে। তাদের কাজের পরিধি এবং টার্মস অব রেফারেন্স তৈরি করার পরে বাকি কাজ করা হবে।’
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
২৬ জানুয়ারি ২৫গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটিতে নাজমুল আবেদিনের সঙ্গে ছিলেন এনএসসির চেয়ারম্যানের পিএস সাইফুল ইসলাম, বিসিবির আইনি উপদেষ্টা কামরুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মাহদি ও এ কে এম আজাদ হোসেন। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তাদের কেউই বিসিবি কিংবা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে কিছু জমা দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন মাহবুব আনাম। এ ছাড়া তিনি এও জানিয়েছেন, বাইরে যেসব কথা ঘুরছে সেগুলোর সবকটা সঠিক নয়।
ভবিষ্যতে বিসিবির সংস্কার কমিটির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। এ ছাড়া কমিটিতে স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করতে চায় বিসিবি। মাহবুব আনাম জানান, গঠনতন্ত্র সংশোধন আরও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। কারণ এটা পুরোপুরি পাবলিক একটি তথ্য। এ প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, ‘উনারা কোন পরিবর্তন বোর্ড সভাপতি বা বোর্ডের কারও কাছে জমা দেননি। এটাও নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছেও কোন কিছু জমা দেয়া হয়নি। এটাও আলাপ এসেছে যে পরিবর্তনের কথা বাইরে অনেকে বলছেন তার অনেক কিছুই সঠিক না।’
‘বিসিবি মনে করেছে প্রক্রিয়াটা আরও একটু স্বচ্ছ হওয়া দরকার। গঠনতন্ত্র সংশোধন এমন একটা জিনিস এখানে গোপনীয়তা নাই। কারণ এটা পাবলিক একটা তথ্য এবং এটি পাবলিকই থাকবে। এজন্য আমরা প্রথমত মনে করেছি তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা দরকার। কারণ এখানে যে আলাপ-আলোচনাগুলো এসেছে এগুলো থামানো দরকার। একই সঙ্গে কমিটির পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন দুটোরই প্রয়োজন রয়েছে। কারণ স্টেকহোল্ডাররা অন্তর্ভূক্ত থাকা প্রয়োজন, সেটাও বোর্ড মনে করেছে।’