আক্ষেপের গল্প শোনালেন ইমরুল

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ইমরুল কায়েস। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া তিন ম্যাচের সেই সিরিজে ১১৬.৩৩ গড়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। যেখানে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি ছিল তাঁর।
কিন্তু এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ইমরুল বজায় রাখতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে। টানা দুই ওয়ানডেতে যথাক্রমে ০ এবং ৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। এরপর ওয়ানডে দল থেকে অনেকটাই যেন ব্রাত্য হয়ে পড়েন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। নির্বাচকদের রাডারেও সেভাবে আসা হয়নি তাঁর।

সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে নিজের সেসব আক্ষেপের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন ৩৩ বছর বয়সী ইমরুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খারাপ করার পেছনে ব্যাটিং পজিশনকেই দায়ী করেন তিনি। সাধারণত ওপেনিংয়ে নামা ইমরুল সেই সিরিজে খেলতে নেমেছিলেন তিন নম্বরে। টানা দুই ম্যাচে তিনে নেমে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হন ইমরুল।
সেই প্রসঙ্গ টেনে এই ওপেনার বলেন, 'এটা আসলে অত্যন্ত বেদনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমি রেকর্ড পরিমাণ রান সংগ্রহ করেছি। আমি সেই সিরিজে ওপেনও করেছি। এরপর হুট করে পরের সিরিজে আমাকে তিন নম্বরে নামিয়ে দেয়া হলো। আমি সেখানে ভালো করতে পারিনি। ব্যাটিং পজিশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে আমি কখনোই নির্দিষ্ট একটি পজিশন পাইনি।'
গত বছরের বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি ইমরুলের। এতে স্বাভাবিকভাবেই হতাশা গ্রাস করে তাঁকে। অথচ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেও লক্ষ্য পূরণ না হওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল তাঁর। নিজের সেই কষ্টের অনুভূতিই অকপটে স্বীকার করেছেন ইমরুল।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ি। এতে আমি বেশ বিক্ষিপ্ত ছিলাম কারণ আমি জানতাম স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার জন্য সেরাটাই দিয়েছি আমি। এটা হজম করা বেশ কঠিন ছিল, কিন্তু আসলে করার কিছু ছিল না। আমার মনে হয়েছে বলির পাঠা হওয়া সবসময়ই অনেক সহজ ব্যাপার।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেলার পর জাতীয় দলের অনেক ব্যাটসম্যানকেই প্রশংসায় সিক্ত করা হয়। কিন্তু ইমরুলের দাবি তাঁর ক্ষেত্রে উল্টো ব্যাপারই দেখা যায় সবসময়। আক্ষেপভরা কণ্ঠে তাই তিনি বলেছেন, 'অনেক ক্রিকেটারই জিম্বাবুয়ে কিংবা অন্য দলের বিপক্ষে রান করেছে এবং প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু আমি যখন রান করি, তখন বলা হয় ইমরুল কায়েস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রান করেছে।'