|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম স্তরের ম্যাচে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে খুলনা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাটিং করছে।

শুভাগতর শিকার সেঞ্চুরিয়ান বিজয়ঃ

আগের দিন স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া বিজয় এ দিনের শুরুর দিকেই ফিরেছেন। ১১২ রানের সঙ্গে আরও ১৪ রান যোগ করে শুভাগত হোমের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ১২৬ রানের ইনিংসে ছিল দশটি চার ও পাঁচটি ছক্কা।

ভারত সফর উপলক্ষে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে চলমান ম্যাচ ছেড়ে খুলনা বিভাগ থেকে আসছেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরাজ আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান থাকলেও মিঠুনের মতো এই ম্যাচে আর মাঠে নামা হচ্ছে না তাঁর।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংসঃ ৩৪২/৮ (১০২ ওভার)
(রুবেল ৫*, রাজ্জাক ৩১*)

প্রথম দিনের বিবরণঃ

এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ম্যাচের প্রথম দিন শেষে খুলনা প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছে ছয় উইকেটে ২৯০ রান। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় খুলনা। ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে (১০) ফিরিয়েছেন সুমন খান। এরপর তিন নম্বরে নামা মেহেদী হাসানকেও শূন্য রানে বোল্ড করেন সুমন।
 
মাত্র ১৬ রানে দুই উইকেট হারানো খুলনাকে পথ দেখাতে শুরু করেন এনামুল হক বিজয় এবং তুষার ইমরান। দুজন মিলে ১৬৬ রানের জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরি করেন এনামুল। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ১৮৫ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

অপরপ্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তুষার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে তাইবুর রহমানের বলে শাকিল হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

ব্যক্তিগত ১১২ রানে স্বেচ্ছা অবসরে যান বিজয়। এরপর আস্থার সঙ্গে ব্যাটিং করেন মোহাম্মদ মিঠুন। মিঠুনকে সঙ্গ দিতে অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। ব্যক্তিগত এক রানে তিনিও ফিরে যান তাইবুরের বলে। এরপর ৪৫ রান করে জুবায়ের লিখনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিঠুন।

তারপর জিয়াউর রহমান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে যায় খুলনা। জিয়াউর ২৭ রানে ফিরলেও, ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন মিরাজ। দ্বিতীয় দিনে তাঁর সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামবেন অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক (৪*)। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া বিজয়ও ব্যাটিং করবেন কাল।

খুলনা বিভাগ একাদশঃ রবিউল ইসলাম রবি, এনামুল হক বিজয়, মেহেদী হাসান, তুষার ইমরান, আব্দুর রাজ্জাক (অধিনায়ক), জিয়াউর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, আব্দুল হালিম ও রুবেল হোসেন।

ঢাকা বিভাগ একাদশঃ সাইফ হাসান, শুভাগত হোম, রকিবুল হাসান, রনি তালুকদার, নাদিফ চৌধুরী (অধিনায়ক), তাইবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, জুবাইর হোসেন, জয়রাজ শেখ (উইকেটরক্ষক), সালাউদ্দিন শাকিল ও সুমন খান।