নতুন কোচের চ্যালেঞ্জ সমূহ

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে ইংলিশ ম্যান স্টিভ রোডসকে। এবার তাঁর উত্তরসূরি খুঁজতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন কোচ পাওয়ার আশা করছে বোর্ড।
কয়েকদিন আগে বিসিবির কাছে সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। দুই এক দিনের মধ্যে ধাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের হাই প্রোফাইল কোচ মাইক হেসনেরও।
অবশ্য যে কোচকেই নিয়োগ দিক বিসিবি তাঁকে যে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তা বলাই বাহুল্য। বরাবরই বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে হয় বিদেশী কোচদের। যথাযথভাবে এই সমস্যা মোকাবেলা করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ বিদেশী কোচদের জন্য।
চলুন দেখে নেয়া যাক নতুন কোচ আর কি কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেনঃ

বিসিবি সভাপতির হস্তক্ষেপঃ
দল নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হস্তক্ষেপ নতুন কোনো বিষয় নয়। এর আগে পাপন নিজেই একাধিকবার স্বীকার করেছেন যে দল পরিবর্তনে কোচকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশেই দল নির্বাচনে বোর্ড সভাপতির হস্তক্ষেপ দেখা যায় না। তাই নতুন কোচকে এই বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।
বাংলদেশের সাবেক কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য এক্ষেত্রে অনেকটাই সফল ছিলেন। কারণ তিনি শুরুতেই বুঝতে পারেন দল বাছাই করার আগে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির কাছে না গিয়ে পাপনের সঙ্গে আলোচনা করাটাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
কিন্তু সদ্য সাবেক কোচ স্টিভ রোডস বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারেননি। দল গঠনের ব্যাপারে পাপনের সঙ্গে তাই আলোচনাও তেমন করতেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটি বুঝে উঠতে পারলেও তাঁর বিদায় ঘণ্টি বেজে গেছে ততক্ষণে।
মাশরাফি মুর্তজার অনুপস্থিতি এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের ম্যানেজ করাঃ
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। একজন মাশরাফির অনুপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই অনুভব করবেন নতুন কোচ। কারণ বরাবরই ড্রেসিং রুম মাতিয়ে রাখার কাজটিতে সিদ্ধহস্ত মাশরাফি। তাঁর উপস্থিতি ড্রেসিং রুমের গুমোট পরিবেশও সহজ করে দেয় অনেকখানি। তাই তাঁর বিদায়ে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা কিছুটা কঠিন হবে রোডসের উত্তরসূরির জন্য।
শুধু তাই নয়, মাশরাফি ছাড়াও তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে নতুন কোচকে। ড্রেসিং রুমে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিযোগিতাই বাংলাদেশ দলের সাফল্যের বাহক হিসেবে গণ্য হয়। আর এই ধারাটি যেন আগামীতেও অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া কোচকেই।
জুনিয়রদের দায়িত্বঃ
দীর্ঘ সময় ধরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভর করে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠ জুনিয়রদের ক্ষেত্রে। মাশরাফি, তামিম, সাকিবরা যেভাবে প্রতিনিয়তই দলের প্রয়োজনে হাল ধরছেন তেমনটি খুব কমই দেখা গেছে সৌম্য, মিঠুন, লিটনদের ক্ষেত্রে। তবে দলের প্রত্যাশা পূরণে কিছুটা সফল তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
বাকিদের মধ্যে রয়েছে প্রকট ধারাবাহিকতার অভাব। তাই এই ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিতে হবে নতুন কোচকে। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহ প্রদান করা এবং তাদের দলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে তাঁকে।