বাংলাদেশ ক্রিকেট

প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চান বিশ্বকাপজয়ী নাভিদ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 20:46 Monday, July 1, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নেয়ার দুই বছর পরই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন নাভিদ নেওয়াজ। ২০২০ সালে তার অধীনেই ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। যদিও বিশ্বকাপ জেতার বছর দুয়েকের মাঝে চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি। কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে।

এই সময়ে বাংলাদেশের যুবাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট। তবে চলতি বছরে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের প্রধান কোচ বনে গেছেন তিনি। ল চলে যাওয়ার পর নিজেদের পুরনো কোচ নাভিদকে ফেরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দ্বিতীয় মেয়াদে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে মিরপুরে কাজও শুরু করে দিয়েছেন লঙ্কান এই কোচ। মাঠে ফিরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ফিরতে পেরে তার ভালো লাগছে। সেই সঙ্গে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চান।

এ প্রসঙ্গে নাভিদ বলেন, ‘ঘরে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের মধ্যে যথেষ্ট গভীরতা আছে। আমি বাংলাদেশের সব জায়গায় যেতে চাই, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে চাই। দু-তিন বছর পর আবার বাংলাদেশে কাজ করতে পারছি, ভালো লাগছে।’

প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের যুবাদের বিশ্বকাপ জেতানোয় এবার তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ থাকবে উঁচুতে। পরের বিশ্বকাপেও নিশ্চিতভাবেই তার অধীনে শিরোপা জেতার আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা। প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অতীত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে মনোযোগ দিতে চান নাভিদ। সেই সঙ্গে বিসিবির পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন লঙ্কান এই কোচ।

নাভিদ বলেন, ‘আমি বর্তমানে মনোযোগ দিতে চাইব, চার বছর আগে যা হয়েছে, তা অতীত। অতীতে ভালো করেছি, তাই সামনেও ভালো করব, বিষয়টা তেমন নয়। বরাবরের মতো বিসিবি এবারও দারুণ কিছু পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যা অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছে। আশা করছি, এবারও তা কাজে দেবে।’

২০২০ যুব বিশ্বকাপে নাভিদের শিষ্য ছিলেন শরিফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানজিদ হাসান তামিম। যারা বেশিরভাগই জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে গেছেন। এবারের বিশ্বকাপে সাফল্যের দেখাও পেয়েছেন হৃদয়, তানজিমরা। এদিকে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়ানো রিশাদ হোসেন সেবার না খেললেও ছিলেন তার দলে। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জকে আলাদাভাবে দেখছেন নাভিদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম। আপনি ১৮-১৯ বছর বয়সে ভালো ক্রিকেটার হলেও ২৫-২৬–এ গিয়ে যে তারকা বনে যাবেন, বিষয়টি তেমন নয়। কতটা পরিশ্রম করছেন, তার ওপর সব নির্ভর করে।’