১১ জনের মৃত্যুতে বেঙ্গালুরুকে দায়ী করেছে আদালত

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
১১ জনের মৃত্যুতে বেঙ্গালুরুকে দায়ী করেছে আদালত
বিসিসিআই
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জয় উদযাপনে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ আয়োজন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হওয়া এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর হয়েছে। পুলিশের অনুমতি না নিয়ে এত মানুষের সমাগমে শিরোপা উদযাপন করায় শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুকে দায়ী করে আসছে কর্ণাটক সরকার। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।

আইপিএলের ফাইনালের দিন অর্থাৎ ৩ জুন সন্ধ্যায় কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রধান নির্বাহী শুভেন্দু ঘোষ কাবন পার্ক থানাকে জানায়, বেঙ্গালুরু যদি শিরোপা জেতে তাহলে তারা প্যারেডের আয়োজন করবেন। তবে তাদের এমন আবেদন তাৎক্ষণিকভাবে না করে দেয় পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের প্যারেড করার জন্য অন্তত সাত দিনে পুলিশের কাছে আবেদন করতে হয়।

অথচ কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সেটা করেছে ফাইনালের দিন সন্ধ্যায়। আদালত জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু ফাইনাল জেতার পরই শিরোপা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেটারই অংশ হিসেবে ৪ জুন সন্ধ্যা ৭ টা ১ মিনিটে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড দেয়। যেখানে বিধান সৌধ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ভিক্টরি প্যারেড করার জন্য সমর্থকদের আসতে বলেন।

একটি ভিডিওতে বিরাট কোহলিও সমর্থকদের ভিক্টরি প্যারেডে যোগ দিতে বলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই প্যারেডে প্রায় ৩ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। বেঙ্গালুরু মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৬ লাখ মানুষ মেট্রোরেল ব্যবহার করেন। অথচ কোহলিদের শিরোপা উদযাপনের দিনে ৯ লাখ ৬৬ হাজার যাত্রী বহন করেছেন তারা। দুুপুর তিনটা নাগায় স্টেডিয়ামের বাইরে ৩ লাখ মানুষের সমাগম হলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন।

৩ টা ১৪ মিনিটে বেঙ্গালুরু ও তাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ডিএনএ সামাজিক যোগামাধ্যমে পোস্ট করে বিষয়টি জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ৩৫ হাজার ধারণ ক্ষমতায় স্টেডিয়ামে একজনের আগে অন্যজন প্রবেশ করতে গিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। যা সামাল দিতে পারেননি সেখানকার পুলিশ। যার ফলে পদদলিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় পুলিশের পক্ষ থেকেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এফআরআই করা হয়।

শেষ পর্যন্ত সব যাচাই-বাছাই শেষে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। যেখানে বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ডিএনএ নেটওয়ার্কস এবং কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ‘ব্যবস্থাপনাগত গাফিলতি’ খুঁজে পেয়েছে আদালত। সিইআইডি তাদের তদন্তের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আরসিবির সিনিয়র কর্মকর্তা ও ডিএনএ নেটওয়ার্কসের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

আরো পড়ুন: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু