ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যবহার করছে ক্রিকেটাররা, দাবি লারার

ছবি: ফাইল ছবি

কদিন আগেই কিংস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে মাত্র ২৭ রানে অল আউট হয়ে গেছে দলটি। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরও। তাদের এই ব্যর্থতা নতুন কিছু নয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি চক্রেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অষ্টম স্থানেই শেষ করেছে।
লয়েড-রিচার্ডস-লারাদের নিয়ে জরুরী সভা ডেকেছে ক্যারিবিয়ান বোর্ড
১৬ জুলাই ২৫
লাল বলের ক্রিকেটে তাদের পারফরম্যান্স দিন দিন পড়ছে। অনেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের শেষও দেখে ফেলেছেন। অনেকেই মনে করেন এর দায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া খেলোয়াড়দের।
একসময় ক্যারিবীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত নিকোলাস পুরান মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি বেছে নিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলাকেই। দলটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা এই মানসিকতার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ‘স্টিক টু ক্রিকেট’ পডকাস্টে।

ওয়ানডের বদলে টি-টোয়েন্টি চায় পাকিস্তান, নারাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৬ ঘন্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতাম, কেউ কেউ কাউন্টিতেও খেলেছি শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ঢোকার জন্য। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটাই যেন একটা মঞ্চ, যেখান থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চুক্তির দিকে লাফ দেয়া যায়। এটা অবশ্য খেলোয়াড়দের দোষ না…।’
লারার কথায় ধরা পড়ে প্রজন্মের তফাৎও—যেখানে একসময় খেলোয়াড়রা টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান হিসেবেই দেখতেন। এখন অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দেখছেন কেবল আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রতীক হিসেবে। তারা বেছে নিচ্ছেন লাভজনক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চুক্তিও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কোনো বড় আইসিসি শিরোপা জিততে পারেনি। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারাও তাদের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এর ফলে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সংস্কৃতির ভেঙে পরার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।
এর পেছনে বিশ্ব ক্রিকেটের কাঠামোগত বৈষম্যকেও দায়ী করছেন ইংলিশ কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। তিনি বলেন, ‘এই তিন বড় দল (ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত) সব অর্থ পাবে, বড় সম্প্রচার চুক্তি পাবে—এটা তো ঠিক নয়। আরও ন্যায্যভাবে বিতরণ করতে হবে যাতে করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো প্রতিযোগিতা করতে পারে।’