অবিশ্বাস্য যাত্রার গল্প

ছবি:

মালয়েশিয়ার মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু সেখানে তাদের পারফর্মেন্স ছিল হতাশায় ভরা।
পুরো সিরিজে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি টাইগ্রেস ক্রিকেটাররা। দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাদের।
সেই সফরের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিল এশিয়া কাপেও একই পারফর্মেন্স ধরে রাখবে বাংলাদেশ দল। খুব বেশী হলে মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেন তারা।
কিন্তু সকলকে ভুল প্রমান করেছেন নারীরা। যদিও এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচে মাত্র ৬৩ রানে গুটিয়ে যায় সালমা-জাহানারারা।

৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে টাইগ্রেসদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় লঙ্কানরা। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগ্রেসরা। পরের ম্যাচে পাকিস্তান দলের সামনে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তারা।
তাদের ছুঁড়ে দেয়া ৯৬ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনার শামিমা সুলতানা এবং নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
এরপরের ম্যাচে আরও বড় অঘটনের জন্ম দেয় বাংলাদেশ দল। টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ভারতীয় দলকে হারিয়ে দেয় তারা। তাদের ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ দল।
সেই ম্যাচে বল এবং ব্যাট হাতে অলরাউন্ডার পারফর্ম করেন রুমানা আহমেদ। তার ৩ উইকেট এবং ৪২ রানের উপর ভর করে জয় পায় টাইগ্রেসরা। এছাড়াও ফারজানা হকের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান।
পরের ম্যাচে জিতলেই ফাইনালের পথে আরও এক পা এগিয়ে যাবে এই সমিকরন নিয়ে মাঠে নামে তারা। সেখানেও থাইল্যান্ডে বিধ্বস্ত করে জাহানারা-সালমারা। আর শেষ ম্যাচে শনিবার মালয়েশিয়াকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ দল।
২০১২ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। এখন পর্যন্ত খেলা ৪৪ ম্যাচে জয় ৯টি। যার ৩টি এসেছিল ২০১২'তে আর দুটি ২০১৪'তে। এবার টানা ৪ ম্যাচে আসলো জয়।
এশিয়া কাপে আগের ৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফাইনালেও প্রতিপক্ষ তারা। নিজেদের সেরা খেলাটা খেললে শিরোপা বাংলাদেশ দলের ঘরেই উঠবে।