সরকারের নিয়ন্ত্রণে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড

ছবি:

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান থিলাঙ্গা সুমাথিপালার মেয়াদকাল শেষ হয়েছে ৩১ মে। তার পরিবর্তে যোগ্য কাউকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেনি বোর্ড। তাছাড়া নির্বাচনেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। ফলে অস্থায়ী ভাবে বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
মূলত বোর্ডের বিগত দিনের একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে আদালতের পক্ষ থেকেই নির্বাচনের ওপর আস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে আর কেউ আগ্রহ দেখায়নি।
অস্থায়ীভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বোর্ডের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কান সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল পদ্মশ্রী। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মেনে নেবে কি না তা জানা যায়নি।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ। এর আগে ২০১৫ সালে যখন সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি দেওয়া হয়েছিল, সে সময়ও আইসিসি লঙ্কান বোর্ডের আর্থিক সাহায্য স্থগিত করে দিয়েছিল।
এদিকে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বোর্ডের দায়িত্বে আরও কিছুদিন থেকে যেতে চেয়েছিলেন সুমাথিপালা। তবে তার আগ্রহ পাত্তা পায়নি সরকারের কাছে। ফলে ক্ষিপ্ত হয়েছেন এই সাবেক লঙ্কান বোর্ড প্রধান।
তিনি বলেছেন, "সামনের ৪-৫ মাসে আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, এশিয়া কাপ (নারী) ও ইংল্যান্ড সফর। এই সময়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা আমি দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম। এর ওপর আইসিসি এটা সহ্য করবে না। এমনকি তারা আবারও আমাদের ফান্ড স্থগিত করে দেবে। যা আমাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলবে।"
তবে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী ফাইজার মুস্তফা সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই বোর্ডের নির্বাচন হবে। এরপরই বোর্ডের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবে সরকার।