ফিক্সিংয়ের তদন্তে আল-জাজিরার সাহায্য চায় আইসিসি

ছবি:

আল-জাজিরার এক গোপন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ক্রিকেটের ফিক্সিং নিয়ে অনেক গোপন তথ্য। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানির সদস্য মুনাওয়ারকে বলতে শোনা গেছে ‘ক্রিকেটের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ম্যাচই পাতানো সম্ভব’।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তদন্তের সার্থে আল জাজিরার দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। আইসিসির প্রধান নির্বাহি ডেভ রিচার্ডসন আল-জাজিরাকে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সহযোগীতা আহ্বান করেছেন।
‘আমরা এটি নিয়ে একটি পরিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালাব।’ ‘আমি আল জাজিরাকে অনুরোধ করছি তারা যেন ক্রিকেটে দুর্নীতি সংক্রান্ত সকল তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে হস্তান্তর করে, যাতে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারি যেন কোন কিছুই বাদ না যায়। আমরা দুর্নীতির সকল অভিযোগই খতিয়ে দেখতে চাই। কিন্তু তার জন্য আমাদের সকল প্রমাণাদি হাতে পাওয়া জরুরি।’

আল জাজিরার সাংবাদিক ডেভিড হ্যারিসনের করা এই প্রামাণ্যচিত্রে ফিক্সিংয়ে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা, ভারতের প্রথম শ্রেণির সাবেক ক্রিকেটার রবিন মরিস ও তিন শ্রীলঙ্কান। তাছাড়া, ফিক্সিংয়ে গল স্টেডিয়ামের কিউরেটর থারাঙ্গা ইন্দিকার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই লঙ্কান কিউরেটর অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন পীচ বিকৃতির কথা। ২০১৬ সালে তার কারণে অস্ট্রেলিয়া আড়াই দিনেরও কম সময়ে টেস্ট হেরেছিল। একইভাবে গত বছরের জুলাইয়ে হওয়া টেস্টে ভারত সংগ্রহ করেছিল ৬০০ রান। আল-জাজিরার প্রতিবেদন মতে দুই টেস্টেই ফিক্সারদের চাহিদা অনুযায়ী পীচ বানানো হয়েছিল।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আল-জাজিরার এই প্রতিবেদককে। যার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ফিক্সিংয়ের অনেক অজানা কাহিনী। আল-জাজিরার তথ্য সঠিক অথবা ভুল প্রমাণ করতে হলেও তা আগে হাতে পাওয়া দরকার বলে মনে করেন ডেভ রিচার্ডসন।
‘জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি, এবং এখন তাদেরকে বলব তারা যেন প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রমাণাদি আমাদেরকেও দিয়ে সহযোগিতা করে। আমরা সাংবাদিকতায় সোর্সের নিরাপত্তার বিষয়গুলো বুঝি এবং সম্মান করি, এবং আমাদের এসিইউ টিম এর আগে যেসব মিডিয়া কোম্পানির সাথে কাজ করেছে, সেসব ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো মেনে চলেছে। কিন্তু তারপরও তাদের প্রমাণগুলো যদি আমরা সঠিক বা ভুল হিসেবে প্রমাণ করতে চাই-ই, তবে অবশ্যই আগে সেগুলো আমাদের হাতে পেতে হবে।’