দেশীয় পরামর্শক থাকতে কারস্টেন কেন?

ছবি:

বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের অন্যতম হট টপিক টাইগারদের কোচ নিয়োগ। এখন পর্যন্ত একজন হেড কোচ পেতে কম জল ঘোলা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন একের পর এক আশ্বাস দিয়েই গিয়েছেন কোচ পাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত। সর্বশেষ বাংলাদেশ দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে বিসিবি শরণাপন্ন হয়েছিলো সাবেক প্রোটিয়া তারকা ব্যাটসম্যান গ্যারি কারস্টেনের। উদ্দেশ্য ছিলো তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী কোচ চূড়ান্ত করবে তারা।
তবে এখানেই মূলত আপত্তি রয়েছে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য কিরূপ কোচ প্রয়োজন তা নির্ধারণ করবে বাইরের দেশের কেউ এটাই মানতে পারছেন না অনেকে। এই তালিকায় রয়েছেন সাবেক বিসিবি পরিচালক মোবাশ্বের হোসেনও। দেশীয় টিভি চ্যানেল একাত্তরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন,
'কি ধরণের কোচ বাংলাদেশের ???ন্য উপযুক্ত এর সিদ্ধান্ত তো আমাদের দেশের লোককেই নিতে হবে। বাইরের একজনকে নিয়ে এসে আমাদের খেলোয়াড়দের সাথে কারা উপযুক্ত এর সিদ্ধান্ত কখনোই নেয়া যায় না।'

উপযুক্ত কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি বলেও মনে করেন ক্রিকেট সংগঠক মোবাশ্বের। তাঁর মতে আর্থিক দুর্বলতা না থাকা সত্ত্বেও ভালো কোচ পাচ্ছে না বিসিবি যা আসলেই হতাশাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন,
'আর্থিক অবস্থা আমাদের এখন অনেক শক্ত। সেই কারণে ভালো কোচ নিয়ে আসার ব্যাপারে আর্থিক দুর্বলতার কোনও কারণ নেই। তাহলে এই ব্যর্থতা আমি মনে করি পুরোপুরি ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।'
তিন ফরম্যাটে ভিন্ন কোচ নিয়োগের যে পরামর্শ দিয়েছিলেন কারস্টেন তা একেবারেই সঠিক ছিলো না এদেশের ক্রিকেটের পরিপ্রেক্ষিতে বলেও বিশ্বাস করেন মোবাশ্বের। এই প্রসঙ্গে সাবেক এই বিসিবি পরিচালক বলেছেন,
'সমন্বয়হীনতা তো হবেই, কারণ তিন ক্যাটাগরির মানুষকে নিয়ে যদি আমরা ট্রেনিং দেয়া শুরু করি তাহলে ক্রিকেটারদের ওপর একটি মানসিক চাপ পড়বে এবং একেক জন একেকভাবে ট্রেনিং দিবে এবং এটিকে সমন্বিত করে এরপরে আবার মাঠে আমাকে ডেলিভারি দিতে হবে, এটি কষ্টসাধ্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।'
এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোচ ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে হয়তো। আর শেষ মুহূর্তে কোচ পেলেও তাঁর পক্ষে বাংলাদেশ দলের সাথে মানিয়ে নেয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন মোবাশ্বের হোসেনও। তিনি বলেছেন,
'সামনে যে বিশ্বকাপ সেখানে আমরা দ্বিধান্বিত অবস্থায় খেলতে যাবো। শেষ মুহূর্তে যদি একজন নতুন কোচ নিয়ে আসা হয় উনি তো সঠিক পরিকল্পনাই করতে পারবেন না। কারণ খেলোয়াড়দের কার কি দেয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে সেটিকে উন্মেষও করাতে পারবেন না এবং তাদের সম্পর্কে তথ্যও তিনি সংগ্রহ করতে পারবেন না।'