কক্সবাজার স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

ছবি:

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রাপ্ত স্টেডিয়ামের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তার মধ্যে অন্যতম কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মর্যাদা পেলেও, আদতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার ধারে কাছেও নেই এই স্টেডিয়ামটি।
এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বড় সপ্ন দেখছেন। তারা মনে করেন যথাযথ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে এটি হবে ক্রিকেটের আদর্শ ভেন্যু। প্রায় ৫১ একর জায়গায় মূল মাঠ ছাড়াও আছে একাডেমী মাঠ। সেখানে অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত করা আছে ১৮ টি উইকেট।
কদিন আগেই এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাবেক ক্রিকেটারদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল। এই টুর্নামেন্টে খুলনার হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। এই স্টেডিয়ামকে তিনি খেলার জন্য আদর্শ জায়গা বলে মনে করেন।
বাশার বলেছেন 'খেলা হওয়ার জন্য এটি আদর্শ খেলার জায়গা।' বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক ক্রিকেটার সাবেক পেসার তালহা জুবায়ের জানিয়েছেন, 'এই স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য় মনে অন্যরকম অনুভূতি জাগায়।'

আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হলেও, এখানে কোনো আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নেই বললেই চলে। বেহাল দশা ড্রেনেজ সিস্টেমের। চারপাশ খুঁড়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই কাদা জমে যায়।
একমাত্র স্কোরবোর্ডটিরও অবস্থা করুণ। মূলত ভেন্যু তদারকির জন্যে যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন তা সেখানে নেই। এই স্টেডিয়ামের গ্যালারি বলতে ছোট্ট ভঙ্গুর একটা প্যাভিলিয়ন। ভেতরে প্রেসিডেন্ট বক্সেরও বেহাল অবস্থা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য গত বছর এনএসসিকে ১৪০ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়েছে। জাতীয় ক্রিড়া পরিষদ এর অনুমতি দিলেও অজানা কারণে আটকে আছে একনেকে।
অবশ্য কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটি ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেন বলেন, 'আমাদের সামনে একটা টুর্নামেন্ট আছে। সেটা হওয়ার আগে সেরে ফেলবো এটা।'
সূত্রঃ সময় নিউজ