টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বাংলাদেশ?

ছবি:

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপর আইসিসি'র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আসর ধরা হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে। পেছনের বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে হয়েছে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই আসর কিন্তু এবারই সম্ভবত শেষবার।
কেননা ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে (আইসিসি'র ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম) জায়গা পায়নি এই টুর্নামেন্টটি। অথচ চার বছরের হিসেব করলে এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে।
সেসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে ভারতের মাটিতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত আইসিসির। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় আইসিসি'র সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে সকল দেশের কর্মকর্তারাই সায় দেয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আরেক জায়গায়। ভারতীয় মিডিয়ার জোর দাবী, আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় ভারত। কেননা মিনি বিশ্বকাপের ধারণা এনে আইসিসির কোষাগারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন আইসিসির সাবেক প্রধান জাগমোহন ডালমিয়া।

অকাল প্রয়াত এই ভারতীয়র ধারণা থেকে মাত্র তিন বছরের মধ্যে কয়েক হাজার পাউন্ড থেকে আইসিসির কোষাগারে জমা হয়েছিল ৭ মিলিয়ন পাউন্ড-- বলেও গুঞ্জন আছে ক্রিকেট পাড়ায়।
ডালমিয়া তত্ত্ব উঠিয়ে নেওয়াকে ভালোভাবে মেনে নিচ্ছে না ভারত। এবার তাই সেই মিনি বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন না করার পক্ষে মতামত নেই ভারতীয়দের। এজন্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন থেকেও নিজেদের নাম সরিয়ে নিতে চায় তারা, বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
পাল্টা জবাব নাকি প্রস্তুত ছিল আইসিসির কাছে। ভারত ২০২১ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন না করলে সেই দায়িত্ব বাংলাদেশ বা শ্রীলংকাকে দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে আইসিসি। আর এতে মত দিয়েছে অন্যান্য দেশও।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার পরের বছর আবারো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপটি আয়োজিত হবে। আর ২০১৯ সালে হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, সামনের তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে আইসিসি।
এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই দফায় (সাইকেল ১- ২০১৯ থেকে ২০২১ এবং সাইকেল ২- ২০২১ থেকে ২০২৩) চলবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপরে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব চলবে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।