ট্রেডমার্ক অফিসে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটাকে নিবন্ধন করালেন ধোনি

ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনি, ফাইল ফটো

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘ক্যাপ্টেন কুল’—এই নামটি নিজের করপোরেট স্বত্ব হিসেবে পেতে সম্প্রতি আবেদন করেছেন ধোনি। মূলত খেলাধুলার অনুশীলন, কোচিং ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে এই ট্রেডমার্কের আবেদন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
কার্তিকের কাছে পান্তই ভারতের সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার ব্যাটার
২২ জুন ২৫
ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ১৬ জুন ভারতের ট্রেডমার্ক নিবন্ধন পোর্টালের অফিশিয়াল জার্নালে ধোনির এই ট্রেডমার্ক আবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বা সংশ্লিষ্ট পক্ষের আপত্তি জানাবার সুযোগ থাকছে।
আইন অনুযায়ী, কেউ যদি এর বিরোধিতা না করে তাহলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্ক হিসেবে অফিসিয়ালি ধোনির নামে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তখন ভবিষ্যতে কোনো ক্রিকেট একাডেমি, স্পোর্টস ব্র্যান্ড কিংবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য আইনি বাধা ছাড়াই এই নামটি ব্যবহার করতে পারবেন তিনি।

ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল বলেন, 'ট্রেডমার্ক আইনে সাম্প্রতিক এক অগ্রগতির কথা জানাতে পেরে আমি খুশি। কীভাবে একজন ব্যক্তির খ্যাতি আর মানুষের মনে গড়ে ওঠা স্বাতন্ত্র্যবোধ আইনি বাধা অতিক্রম করতে পারে, এটা তারই প্রমাণ।'
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ৩ নম্বরে মান্ধানা
২৫ মিনিট আগে
তবে এই পথটা খুব মসৃণ ছিল না। শুরুতে ভারতের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আপত্তি জানানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, একই বা কাছাকাছি নাম রেকর্ডে আছে, যা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু ধোনির পক্ষের যুক্তি ছিল, ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি বহু বছর ধরে ভক্ত ও গণমাধ্যমে ধোনির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
সব দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত ট্রেডমার্ক অফিস ধোনির আবেদনে সম্মতি দেয়। তাদের ভাষায়, এই নাম শুধু একটি ডাকনাম নয়, বরং ধোনির বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিত্বের পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
তবে এই নাম নিয়ে আগে থেকেই একটি আবেদন ঝুলে আছে। ২০২১ সালে ‘প্রভা স্কিল স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান একই নামে ট্রেডমার্ক চেয়েছিল অনলাইন গেমিং সার্ভিসের জন্য। কিন্তু সেই আবেদন এখনো আইনি জটিলতায় আটকে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধোনির আবেদন এবং প্রভাবের কারণেই হয়তো আগের আবেদনটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।