বল টেম্পারিংয়ে কঠিন শাস্তি দিবে আইসিসি

ছবি:

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের ওভালে টেম্পারিংয়ের দায়ে পাকিস্তানকে পেনাল্টি দেওয়া হয়েছিলো ৫ রান। পারতপক্ষে এটিই ছিল বল টেম্পারিংয়ে দেওয়া সবচেয়ে কঠিন শাস্তি। এছাড়া গত ৫ বছরে ফাফ দু প্লেসিই দুই দফায় টেম্পারিংয়ের দায়ে শাস্তি হজম করেছেন।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মুখে এক ধরণের চকলেট (মিন্ট) নিয়ে সেটির রস মাখিয়ে বলের কন্ডিশন বদলানোর চেষ্টা করে দ্বিতীয় দফায় ধরা খেয়ে ম্যাচ ফির পুরোটা জরিমানা দেন দু প্লেসি।
এর আগে (২০১৩ সালে) পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ট্রাউজারের জিপারে বল ঘষে ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ জরিমানা গুণেছেন দু প্লেসি। আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথও এই কেলেঙ্কারিতে পরেছেন।

আর ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে টেম্পারিং করে ধরা খেয়ে জরিমানা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকারই ভার্নন ফিল্যান্ডার। এছাড়া এই কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদিও। তবে নিছক জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে গেছেন সবাই।
আইসিসি থেকে দেওয়া হয়নি বড় কোনো শাস্তি। এবার স্মিথ-ওয়ার্নারদের টেম্পারিং কান্ড এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত দেখে নড়েচড়ে বসছে আইসিসি। বল টেম্পারিংয়ের জন্য কড়া শাস্তির বিধান না থাকলেও এবার সেটা চালু করবে আইসিসি।
কলকাতায় গত এক সপ্তাহ ধরেই চলছে আইসিসির সভা। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভায় আলোচনা করা হচ্ছে ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আর এতে যোগ দিয়েছে টেস্ট খেলুড়ে সকল দেশের বোর্ড প্রতিনিধিরা।
সভায় আলোচনা করা হয়েছে বল টেম্পারিং ইস্যু নিয়েও। সেখানে বল টেম্পারিং ও স্লেজিংয়ের মতো অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান আনার সিদ্ধান্তে নিয়েছে সকল দেশের বোর্ড কর্মকর্তারা। আইসিসির সি.ই.ও ডেভিড রিচার্ডসন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান,
'অনেক সময় মাঠে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, স্লেজিং ও বল টেম্পারিং, অশোভন ভাষা ব্যবহারের জন্য বড় শাস্তি হয় না। শুধুমাত্র জরিমানা যথেষ্ট নয়, পেনাল্টি প্রয়োজন। ক্রিকেট পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে কঠিন শাস্তির পরিকল্পনা নেবে।'