বাংলাদেশের স্টোকস হতে চান তরুণ রবিউল

ছবি:

তিন চার বছর আগেও একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাবে ভুগেছে বাংলাদেশ দল। সাইফউদ্দিন-কাজি অনিকরা বিগত কয়েক বছরে নিজেদের পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনেক খানি সফলও হয়েছেন তারা। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা হয়েছে সাইফউদ্দিনের, আর সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে কাজী অনিক তো আলো ছড়িয়েছেন বল হাতে।
মোট ২৯ উইকেট নিয়ে ডিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন দ্বিতীয় স্থানে। কাজী অনিক কয়েক মাস আগেই খেলে এসেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। অনিকের সঙ্গেই যুব বিশ্বকাপ খেলেছেন রবিউল হক।
তরুণ এই পেসার সম্প্রতি শেষ হওয়া ডিপিএলে বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। যুব বিশ্বকাপ দলের সতীর্থ কাজী অনিককে উইকেটের দিক দিয়ে ছাড়াতে পারেননি অল্পের জন্য। ২৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন শেখ জামালের সেরা বোলার।

এই তরুণের এখন একটাই চিন্তা, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরা। পাশাপাশি জানিয়েছেন একজন পরিপূর্ণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার হওয়ার ইচ্ছা তার। ব্যাটসম্যান থেকে বোলার হয়ে ওঠার যাত্রার কথা জানিয়েছেন মানবজমিনকে। সেখানে তিনি বলেন,
'আমি খেলতাম ওপেনার হিসেবে। কিন্তু যখন বড় হতে শুরু করলাম তখন টিভিতে বেন স্টোকসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বোলিং দেখতাম। তাদের দেখে দেখেই আমি বোলিং শুরু করি। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই আমি লম্বা হতে শুরু করি।
সেখানে আমি যখন বল করতাম তখন অনেক জোরে হতো সেটি। বন্ধুরাও বলেছে যে আমি যেন বল করি। এরপর বড় পেসারদের বোলিং দেখতে শুরু করি টিভিতে। সেখান থেকে বোলিংয়ের অনেক কিছুই শিখেছি। এখন আমার একটাই স্বপ্ন, অলরাউন্ডার হবো'
ডানহাতি এই পেসার আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেটে তিনি অনুপ্রেরণা পান মাশরাফি বিন মর্তোজার কাছ থেকে। তাকে দেখে অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি আরও বলেন,
'মাশরাফি ভাইকে ফলো করি। কারণ দেখেন তার বোলিংয়ে গতি এখন অনেক কম। তারপরও তিনি দারুণ সফল। কারণ তিনি ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা দ্রুত ধরতে পারেন। এছাড়াও তার সবচেয়ে বড় বিষয় তিনি একই জায়গাতে বল করে যেতে পারেন।
আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা যে এক জায়গাতে বল করে যেতে পারলে যেকোনো ব্যাটসম্যান এক সময় পরাস্ত হবে। আর এটি আমার শক্তিও বলতে পারেন।'