বর্ণবাদের তীর বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচের দিকে

ছবি:

বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে জিম্বাবুয়ের সাবেক হেড কোচ হিথ স্ট্রিকের উপর। তার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কর্তা তাভেঙ্গা মুকুহলানি।
কয়েকদিন আগেই বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আরব আমিরাতের কাছে হেরে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জিম্বাবুয়ের। ??রপরই দলের হেড কোচ হিথ স্ট্রিককে চাকরীচ্যুত করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
শুধু স্ট্রিক নন, সঙ্গে চাকরি হারান ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনার, বোলিং কোচ ডগলাস হন্ডো, ফিল্ডিং কোচ ওয়াল্টার চাওয়াগুতা, ফিটনেস কোচ সিয়ান বেল, বিশ্লেষক স্ট্যানলি শিওজা এবং নির্বাচক টাটেন্ডা টাইবু।
আর বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার পর বোর্ডের প্রধান কর্তা অভিযোগ করেন, বাছাইপর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচে একাদশ নির্বাচনে বর্ণবাদের আচরণ করেছেন স্ট্রিক।

স্ট্রিকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘স্ট্রিক ছিলেন দলের কোচ এবং নির্বাচক। তিনি তার পছন্দমতো দল সাজাতে পারতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেভাবে তিনি দল সাজিয়েছিলেন, সেটা কি সঠিক ছিল?
পিটার মুরের মতো সাদা চামড়ার খেলোয়াড় দলে আসলেন, অথচ কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের কেউ সেটা জানতোই না। চেফাস ঝুয়োকে অনুশীলনের সময় জানালো হলো সে খেলছে না। স্ট্রিক কেন সেটা পুরো দলকে জানালেন না?’
বোর্ড চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগ শুনে যেন হিসেব মিলাতে পারছিলেন না স্ট্রিক। বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগের ব্যাপারে বলেন,
‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের চেয়ারম্যান আমাকে বর্ণবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করলেন, আমার কাছে এটা অস্বাভাবিক এবং হাস্যকর মনে হয়েছে। যারা আমাকে চেনেন, তাদের জন্যও এর জবাব দেয়া আমার মানের বাইরে।
আমি শুধু কয়েকটা জিনিস নজরে আনতে চাই। আমাদের নির্বাচক কমিটিতে আমি ছাড়াও তাতেন্দা তাইবু আর ডগলাস কস্তা ছিলেন। আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করেই দল দিতাম।’
কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে শ্বেতাঙ্গদের সুযোগ দেয়ার অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন সাবেক এই ফাস্ট বোলার। স্ট্রিক আরও বলেন,
‘বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় কালো খেলোয়াড়দের বাদ দিয়ে সাদা খেলোয়াড় নেয়ার অভিযোগ উদ্ভট। যখন আমি কাইল জার্ভিসকে বাদ দিয়ে তেন্ডাই চিসুরুকে নিলাম, কিছু বলা হলো না। কিন্তু যখন সেফাস ঝুয়োকে বাদ দিয়ে পিটার মুরকে নিলাম, তখন বলা হলো আমি বর্ণবাদী।’