'কোড অব কন্ডাক্ট' নিয়ে নতুন করে ভাবছে আইসিসি

ছবি:

ক্রিকেট বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বল টেম্পারিং কান্ড। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
খেলোয়াড়দের আচরণবিধি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার কথা ভাবছে আইসিসি। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন মনে করেন, ক্রিকেট ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়’ পার করছে এখন।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটারদের আচরণে ক্ষুব্ধ তিনি। তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বল টেম্পারিং নিয়ে বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য একটি বার্তা বলে জানিয়েছেন এই আইসিসির কর্মকর্তা।

এই প্রসঙ্গে রিচার্ডসন বলেছে??, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহে নোংরা স্লেজিং, মাঠ থেকে তুলে নেয়া, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা ও বল ট্যাম্পারিংয়ের মতো খেলোয়াড়দের বাজে আচরণ দেখেছি। এটা সম্ভবত স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়, যেখানে খেলোয়াড়রা ধারাবাহিকভাবে বাজে আচরণ করছে। বল ট্যাম্পারিং নিয়ে বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা ক্রিকেটের জন্য এটা বার্তা। যথেষ্ট হয়েছে।’
ক্রিকেটের মাঝে শ্রীঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকমের চেষ্টাই করবে আইসিসি। একথা নিশ্চিত করেছেন রিচার্ডসন, ‘এ কারণে আমরা খেলোয়াড়দের আচরণবিধি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করব। এবং খেলার স্পিরিট ও কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে নতুন করে ভাববো। বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন আমাদের প্রতি আছে। খেলার স্পিরিটই ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য। যেটা খেলোয়াড়দের আচরণের সাথে যুক্ত।’
বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তাছাড়া, আরেক অজি ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রফট ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে নিদাহাস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লেগ আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে খুব বাজে এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও টাইগার ক্রিকেটার নুরুল হাসানকে। এই বিষয়গুলো ভালো ভাবে নেয়নি আইসিসি।