স্মিথ-ওয়ার্নারদের অপবাদে আনন্দিত টাইগারদের সাবেক কোচ

ছবি:

বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ানই নিজেদের লজ্জিত বোধ করছেন। তবে একজন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্মিথ-ওয়ার্নারদের এই কাজে খুশি। কারণ অস্ট্রেলিয়ার কলঙ্কিত ক্রিকেটার হিসেবে তার নামই আসতো সবার আগে। এবার উচ্চারিত হবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের নাম।
তাই বেশ আনন্দিত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ ট্রেভর চ্যাপেল। গড়িয়ে গড়িয়ে বল (আন্ডার আর্ম) করায় ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
এই প্রসঙ্গে ট্রেভর বলেন, ‘এত দিন আমিই ছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনার নায়ক, গুগলে সবার আগে আমার নামই আসত। ভেবে স্বস্তি হচ্ছে, সবচেয়ে কলঙ্কিত নায়কের এই মনিহার এখন আর আমার নামে থাকবে না।’

১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচের শেষ বলে ৬ রান করলে টাই করতে পারতো কিউইরা। সেই ম্যাচে অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলের পরামর্শে শেষ ওভার করা ট্রেভর শেষ বলটি গড়িয়ে গড়িয়ে করেন। যেন ব্যাটসম্যান আর যা-ই হোক ছক্কা হাঁকাতে না পারে। ফলে ম্যাচটি জিতেছিল অস্ট্রেলিয়াই।
পরে অবশ্য এই ঘটনা তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। আইসিসিও বাধ্য হয়ে নিষিদ্ধ করে আন্ডার আর্ম বোলিং। অতিতের এই ঘটনা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় বলে জানিয়েছেন ট্রেভর। ৩৭ বছরেও এই ঘটনা ভুলতে পারেননি তিনি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘সেদিন আমি যা করেছিলাম, তা আজীবন আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। স্মিথ আর ব্যানক্রফটের বেলায়ও তা-ই হবে। বাকিটা জীবন এ নিয়ে তাদের ধুঁকতে হবে। সব সময়ই তাদের স্মরণ করা হবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটকে, যারা বিতর্কিত করেছে। এই ঘটনা ওদের দুজনকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পোড়াবে কি না জানি না। তবে আমি এই ৩৭ বছরেও তা পেছনে ফেলে আসতে পারিনি।’
সেই এক ঘটনার কারণে বিয়ে করতে পারেননি বলেও আক্ষেপ করেছেন ট্রেভর, ‘মানসিকভাবে আমি অনেকটা ভেঙে পড়েছিলাম। আমাকে বছরের পর বছর এ নিয়ে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা বারবার জানতে চাওয়া হয়েছে। আমার বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল, এরপর আর বিয়ে করিনি। আমার কোনো সন্তানও নেই। এই জীবনটা এখন আমি শিশুদের কোচিং করিয়ে আর গলফ খেলে কাটিয়ে দিই।’