আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হলেন সৌম্য

ছবি:

শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি শেষে দেশে ফিরেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে খেলতে নেমে গিয়েছেন টাইগারদের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং ওপেনার সৌম্য সরকার।
তবে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের আমেজ কাটিয়ে উঠতে না পারার কারণেই হয়তো অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের হয়ে খেলতে নেমে আজ খুব একটা রান করতে পারেননি মুশফিক। অগ্রণীর ভারতীয় রিক্রুট ঋষি ধাওয়ানের বলে আউট হয়েছেন ২১ রান করে।
আর মুশফিকের দলও সৌম্য সরকারদের দলের বিপক্ষে খুব একটা বড় স্কোর গড়তে পারেনি। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ২০৪ রান সংগ্রহ করেছে রুপগঞ্জ। দলের পক্ষে তুষার ইমরানের ৯৮ রান ছাড়া আর কেউই তেমন বড় স্কোর গড়তে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান এসেছে মোশাররফ হোসেনের ব্যাট থেকে।
এদিকে রুপগঞ্জের ছুঁড়ে দেয়া ২০৫ রানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে খেলতে নেমে গেছে অগ্রণী ব্যাংক। আর শুরুটাও দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং শাহরিয়ার নাফিস। এই দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৭৬ রানের।
তবে এরপরেই শ্রীলঙ্কা থেকে সদ্য ফেরত সৌম্য ২৪ রান করে আসিফ হাসানের বলে মোহাম্মদ নাইমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সৌম্য ফিরলেও দারুণ ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাফিস। বর্তমানে ৬৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন তিনি। আর এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের স্কোর দাঁড়িয়েছে ১ উইকেটে ৯৪ রান (২৫ ওভার)।
এর আগে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচটিতে প্রথমে টসে জিতে রুপগঞ্জকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার আব্দুল মজিদকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন অগ্রণী পেসার শফিউল ইসলাম।

৬ রানের মাথায় আরেক ওপেনার সালাউদ্দিন পাপ্পুকে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন আরেক পেসার আল-আমিন হোসেন। এরপর যথাক্রমে ২৮ এবং ৩৩ রানের মাথায় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে ফিরে যেতে হয় মোহাম্মদ নাইম (১৭) এবং অধিনায়ক নাইম ইসলামকেও (৪)।
দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা রুপগঞ্জকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে ক্রিজে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৬৯ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪১ বলে ২১ রান করে বিদায় নিতে হলো তাঁকেও। তবে মুশফিক দ্রুত আউট হলেও তুষার ইমরান এবং মোশাররফ হোসেনের ব্যাটে শত রানের কোটাও পার করতে সক্ষম হয় রুপগঞ্জ।
দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন তুষার। কিন্তু ৯৮ রান করে আল-আমিনের বলে বোল্ড হয়ে গেলে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাঁকে। ফলে শেষ পর্যন্ত আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারায় স্বল্প রানেই থামে রুপগঞ্জের ইনিংস।
অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে বল হাতে সবথেকে সফল বোলার ছিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম এবং আব্দুর রাজ্জাক।
উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থান করছে মুশফিকের রুপগঞ্জ। সুতরাং সুপার সিক্সে এক পা দিয়েই রেখেছে তারা বলা যায়। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষ অগ্রণী ব্যাংক ১০ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে ১১ নম্বরে থাকায় সুপার সিক্স থেকে ইতিমধ্যে ছিটকে পড়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব-
সৌম্য সরকার, শাহরিয়ার নাফিস (অধিনায়ক), সালমান হোসেন, ধীমান ঘোষ, ঋষি ধাওয়ান, জাহিদ জাভেদ, শামসুল ইসলাম, শাহবাজ চৌহান, আব্দুর রাজ্জাক, আল-আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম।
লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জ-
আব্দুল মজিদ, সালাউদ্দিন পাপ্পু, মোহাম্মদ নাইম, মুশফিকুর রহিম, নাইম ইসলাম (অধিনায়ক), তুষার ইমরান, মোশাররফ হোসেন, নাজমুল হোসেন মিলন, আসিফ হাসান, সৈয়দ রাসেল, মোহাম্মদ শহীদ।