হোল্ডারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করিনি: মিরাজ
ছবি: চিটাগংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের সময় মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি
এর ফলে চিটাগংয়ের জয় নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অন্যদিকে হাসান মাহমুদ-মুশফিক হাসানরা চেপে ধরেছিলেন চিটাগংকে। শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থেকেই চিটাগংকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি। ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন খুলনার ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে ১৮তম ওভারেই। জেসন হোল্ডারের সেই ওভারে চতুর্থ বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন আলিস।
মিরাজের কাছে প্রতি ম্যাচই নক আউট, রসের কাছে ফাইনাল
৩০ জানুয়ারি ২৫পরের বলে কাট করে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে চার। তাতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে চিটাগংয়ের। তবে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ বলে গিয়ে জয় পায় তারা। ম্যাচ হারের পর হোল্ডারকেই দায়ী করেছেন মিরাজ। এমন অভিজ্ঞ বোলারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করেননি বলেও জানিয়েছেন খুলনার অধিনায়ক।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের পরাজয়ের আসল কারণ ছিল হোল্ডারের তৃতীয় ওভার (ইনিংসের ১৮তম)। ওই ওভারে যে ১৩ রান এল, সেটাই ঘুরিয়ে দিয়েছিল ম্যাচ। আন্তর্জাতিক এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হোল্ডারের মতো অভিজ্ঞ বোলারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করিনি।’
জিততে হলে শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। প্রথম বলেই চার মেরে সেই আশা বাঁচিয়ে রাখেন সানি। এরপর দুই ও পরের পরে সিঙ্গেলে সেই আশা আরও জোরালো হয়। চতুর্থ বলে মুশফিককে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে চিটাগংয়ের সমীকরণ সহজ করেন শরিফুল ইসলাম। পরের বলেই শরিফুল ফিরে গেলে জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে চিটাগংয়ের।
এরপর আবারও ব্যাটিংয়ে ফেরেন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া আলিস। তিনি শেষ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এমন খরুচে ওভারের পরও মুশফিকের দোষ দেখছেন না মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকবারই তীরে এসে তরী ডুবতে দেখেছেন মিরাজ। এই ম্যাচেও এমনই ঘটনার সাক্ষী হলেন মিরাজ।
তিনি বলেছেন, ‘শেষ ওভারে মুশফিক হাসানের ১৫ রান খাওয়ার ফলে আমরা হেরেছি ঠিকই, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ম্যাচটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে (১৮তম ওভারে) ওই ১৩ রান দেওয়াতেই।’ মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল, যেকোনো সময় কিছু একটা অঘটন ঘটবে। সেই ভয়ই আমার মনকে পুরোপুরি গ্রাস করেছিল।’