‘ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট, বোলারদের দক্ষতা বাড়াবে এনসিএল’
ছবি: এনসিএল টি-টোয়েন্টি ট্রফি উন্মোচন, ক্রিকফ্রেঞ্জি
২০১৯ ও ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এ ছাড়াও ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০০৯ ও ২০১০ সালে পোর্ট সিটি ক্রিকেট লিগ নামেও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়।
কোনোটিই এক-দুই আসরের বেশি স্থায়ী হয়নি। বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নুর মতে, এনসিএলের এই লিগটি নিয়মিতই সময়মত আয়োজন করা উচিত। এতে করে ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট বা বোলারদের দক্ষতা আরও বাড়বে বলেই বিশ্বাস তার।
নান্নু বলেন, 'আমরা চাচ্ছিলাম এই প্লাটফর্মটা। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য যেন একটা বিরাট সুযোগ আসে। বিপিএল ছাড়া এই ফরম্যাটে আর খেলা হয় না লোকাল প্লেয়ারদের জন্য। এটা নিয়মিত হতে থাকলে আসা করা যায় এমন কিছু ক্রিকেটার পাওয়া যাবে যাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজে লাগবে।'
'অভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটাই আমরা চাচ্ছিলাম। এই প্রক্রিয়ায় থাকলে ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট বাড়বে, বোলারদের আগ্রহও বাড়বে। ডেথ ওভারে বোলিং করা বা পাওয়ার প্লে'তে বোলিং করা- সবকিছু মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা ভালো কিছু পাবো বলেই আমরা আশা করছি।'
এমন টুর্নামেন্টে উইকেটের মান যেন সর্বদাই ভালো থাকে, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে বিসিবির পক্ষ থেকে। যার কারণে সিলেটের মাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি। আবহাওয়া ভালো থাকায় কিছুটা নির্ভার বিসিবি।
নান্নু আরও বলেন, 'নিয়মিত ভালো উইকেটে খেলার জন্য আমরা চাচ্ছিলাম নতুন একটা ভেন্যুতে যেন খেলা হয়। উইকেটের মান যেন একই রকম থাকে। যদিও এটা কঠিন, ২৪ তারিখ পর্যন্ত এখানে খেলা হবে। তারপরও আবহাওয়া ভালো আশা করি উইকেটও ভালো থাকবে। আমরা ভালো কিছু দেখার অপেক্ষায় আছি।'
এবারের এনসিএল টি–টোয়েন্টির পৃষ্ঠপোষক আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। সহযোগী পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও পাশের আউটার স্টেডিয়ামে। খেলার দিনগুলোতে ম্যাচ হচ্ছে চারটি করে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চার দল খেলবে প্লে–অফ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৪ ডিসেম্বর।