মিরাজের নেতৃত্বগুণে মুগ্ধ সিমন্স
ছবি: সংগৃহীত
গত আফগানিস্তান সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে থেকে কুঁচকির চোটে পড়েছিলেন শান্ত। এরপর অনেকটা আচমকাই নেতৃত্বের দায়িত্ব চলে যায় মিরাজের কাঁধে। অল্প সময় পেলেও দলকে জয়ের কক্ষপথে ফেরান মিরাজ।
নর্থ সাউন্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২০১ রানে হারলেও অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ জিতেছে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩৬ ও ৪২ রান করার পর বল হাতে এই টেস্টে ১৩ ওভার করে একটি উইকেটও নিয়েছেন মিরাজ।
তার প্রশংসা করে সিমন্স বলেন, ‘আমি তাকে (মিরাজ) দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অল্প সময়ের নোটিশে শান্তর থেকে দায়িত্ব নিয়েছে। দায়িত্বটি নিয়েছে ও দলকে চালিয়ে নিয়েছে। মেহেদী ও তাইজুল একে অপরের পরিপূরক হিসেবে খেলেছে। মিরাজ কিছুটা দ্রুতগতিতে রান তুলেছে, সে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেছে।’
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তোলে ১৬৪ রান। রান রেট ছিল আড়াইয়েরও কম (২.২৮)। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ২৬৮ রান। এই সময় রান রেট ছিল ৪.৪৭। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বেশি ইতিবাচক খেলে বাংলাদেশ।
যার কারণে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ২৮৭ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। তিন নম্বরে খেলে শাহাদাত হোসেন দিপু করেন ২৬ বলে ২৮ রান। চারে নেমে মিরাজ করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। আর ছয়ে নেমে জাকের আলী আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় করেন ১০৬ বলে ৯১ রান। টাইগারদের ইতিবাচক মানসিকতার প্রশংসা করেছেন সিমন্স।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘ব্যাটাররা যে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এসেছিল তা পছন্দ করেছি। শেষ কয়েক ম্যাচে তাদের টিকে থাকার মানসিকতা দেখা গেছে। তৃতীয় দিনে দেখলাম ওরা বলছে, ‘আমরা এখানে খেলতে এসেছি।’ এমন মনোভাব আমি পছন্দ ও উপভোগ করি। নিশ্চিত করেছি, তারা জানে যে এখন থেকে আমাদের এভাবেই খেলতে হবে। টেস্ট জয়ের জন্য তরুণ খেলোয়াড়রা অপেক্ষায় ছিল। প্রথম টেস্ট হারের পর তাদের কামব্যাক করতে দেখে ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।’