সবাই মন থেকে ম্যাচটা জিততে চেয়েছে, তাই জিততে পেরেছি: মিরাজ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তোলে ১৬৪ রান। রান রেট ছিল আড়াইয়েরও কম (২.২৮)। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ২৬৮ রান। এই সময় রান রেট ছিল ৪.৪৭। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বেশি ইতিবাচক খেলে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সম্ভাবনা ‘শেষ’, তবুও বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে রিজওয়ান
২ ঘন্টা আগে
সেই ইতিবাচকতার বীজ ক্রিকেটারদের মধ্যে বপন করে দেন মিরাজ নিজেই। ক্রিকেটাররাও তার এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। যার কারণে ক্যারিবিয়ানদের সামনে ২৮৭ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারে বাংলাদেশ।
মিরাজ বলেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’

‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।’
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন মুমিনুল হক। যার কারণে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনে টাইগাররা। পরিবর্তিত পজিশন তিনে খেলে শাহাদাত হোসেন দিপু করেন ২৬ বলে ২৮ রান।
চারে নেমে মিরাজ করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। আর ছয়ে নেমে জাকের আলী আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় করেন ১০৬ বলে ৯১ রান। মূলত মিরাজের ইতিবাচক চিন্তাভাবনাই বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে রেখেছে।
মিরাজ আরও বলেন, ‘সৌরভ ভাই (মুমিনুল) অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় (পজিশন) ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দীপুকে (শাহাদাত) আমি বলেছিলাম, ও রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম। ও সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
‘আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ, এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল, একটা রানও খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি খেলোয়াড় যেন রানের জন্য ক্রিকেট খেলে। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, ঠেকাব—আমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।’