বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশকে পেস আগুনে পুড়িয়ে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংস তিনটি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। একই টেস্টে সবচেয়ে কম বলে টেস্টে ৩০০ উইকেট নেয়ার মাইফলক স্পর্শ করেছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এমন পারফরম্যান্সে জসপ্রিত বুমরাহকে সরিয়ে ২০১৯ সালের পর আবারও আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে ফিরেছেন রাবাদা।
শীর্ষে ফেরার পরের ম্যাচে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকান পেসার নিয়েছেন আরও ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও। দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে হারানোর পর আইসিসির অক্টোবর মাসের সেরা দৌড়ে জায়গা পেয়েছেন রাবাদা। ২৯ বছর বয়সী পেসারের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনার ও নোমান আলী।

উপমহাদেশের উইকেটে খেলা হলেও ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা পেলেন না স্যান্টনার। পুনেতে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে যখন ফিরলেন তখন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের কঠিন পরীক্ষা নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। যেখানে ব্যাট হাতে ৩৩ রান করেছিলেন স্যান্টনার। কিউই তারকা ঝলকটা দেখালেন বাঁহাতি স্পিনে। শুভমান গিল, কোহলি, সরফরাজ খানদের ফিরিয়ে নিলেন ৫৩ রানে ৭ উইকেট।
এক ইনিংসে যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। পরের ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৪ রানের বেশি করতে না পারলেও বোলিংয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। পুরো ম্যাচে ১২.০৭ গড়ে ১৫৭ রান খরচায় ১৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এক টেস্টের দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট বা তার চেয়ে বেশি নিয়েছেন স্যান্টনার। অক্টোবরে একটি মাত্র টেস্ট খেলেও তাই মাসসেরার দৌড়ে আছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে পাঁচশর বেশি রান করলেও ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয় পাকিস্তানকে। এমন হারের পর নিজেদের পরিকল্পনা বদল আনে তারা। নতুন নির্বাচক কমিটি দায়িত্ব নিয়েই একাদশে খেলার সুযোগ করে দেন দুই স্পিনার নোমান ও সাজিদ খান। তারা দুজনে মিলেই মুলতানে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ইংলিশদের ধসিয়ে দিয়েছেন। নোমান ও সাজিদ মিলে নিয়েছিলেন ২০ উইকেট।
যেখানে ১৪৭ রান খরচায় ১১ উইকেট নিয়েছিলেন নোমান। সিরিজের শেষ টেস্টেও পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন তারা দুজন। রাওয়ালপিন্ডিকে ইংল্যান্ডকে ২৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। দুই স্পিনারের বিপক্ষে পেরে উঠতে পারেননি জো রুট, বেন স্টোকসরা। পুরো ম্যাচে ১৩৯ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন নোমান। ফলে ২০২১ সালের পর ঘরের মাঠে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। এমন পারফরম্যান্সে তাই মাসসেরার দৌড়ে আছেন বাঁহাতি এই স্পিনারও।
মেয়েদের ক্রিকেট মাসসেরার দৌড়ে আছেন সাউথ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়ান্দ্রা ডটিন। কিউইদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন অ্যামেলিয়া। ৬ ম্যাচে ১৩৫ রানের পাশাপাশি ১৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার। শিরোপা জিততে না পারলেও সাউথ আফ্রিকাকে ফাইনালে তুলতে ব্যাটিং অবদান রেখেছিলেন ৪৪.৬০ গড়ে ২২৩ রান করা উলভার্ট। এদিকে ডটিন ১২০ রানের পাশাপাশি ৫ উইকেট নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন।