'ব্যথায় শট খেলতে পারছিলাম না, মিরাজ কাজ সহজ করে দিয়েছে'

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের পেসারদের দাপটে দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। চেপে ধরে ছিল অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্নও। তবে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লড়াই জমিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন। আর মিরাজ করেন ৭৮ রান। তিনিও জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আশা। তবে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে না পারলেও বাংলাদেশ তাদের ব্যাটিংয়ের কল্যাণে পেয়ে যায় ২৬২ রান।

লিড না পেলেও তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে খানিকটা এগিয়েই আছে। ৩.৪ ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন লিটন।
জানিয়েছেন হাতে ব্যথা পাওয়ার ফলে তিনি শট খেলতে পারছিলেন না। তবে মিরাজ শুরুতেই বেশ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে নিয়ে তার কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের পেসাররা ততক্ষণে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর জেঁকে বসেছিলেন। সেই চাপ সামাল দিতে মিরাজই রেখেছেন বড় ভূমিকা।
তার প্রশংসা করে লিটন বলেন, 'আমি কখনই লম্বা চিন্তা ভাবনা করিনি। আমি যখন সাকিব ভাইয়ের সাথে শুরু করেছি, তিনি খুব দ্রুতই আউট হয়ে যান। আমি আর মিরাজ তখন দুজনই নতুন। একটাই আলোচনা হচ্ছিল খেলাটাকে আর কতটুকু টেনে নেয়া যায়। কারণ তারা খুবই ভালো বোলিং করছিল। নতুন বলে খেলা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তারা ভালো একটা মুহূর্তে ছিল।'
মিরাজের সঙ্গে লিটনের জুটিটি ছিল ১৬৫ রানের। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৬৯ রানের আরেকটি জুটি গড়ে বাংলাদেশকে লিডের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন লিটন। তবে লিড এনে দিতে না পারলেও বাংলাদেশের লড়াই বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন নিশ্চিতভাবেই।
মিরাজের সঙ্গে নিজের পরিকল্পনার কথা খোলাসা করে লিটন বলেছেন, 'আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল কীভাবে আমরা মোমেন্টামটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। অবশ্যই মিরাজকে কৃতিত্ব দিতে হবে হবে। আমার হাতে বল লাগার কারণে আমি খুব একটা শট খেলতে পারছিলাম না। মিরাজ তাদেরকে অনেকটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল শট খেলে। মিরাজের দ্রুত কয়েকটি বাউন্ডারি একটা ছন্দ তৈরি করেছিল।'